
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডিঙ্গি নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
আসছে বর্ষা মৌসুম। বর্ষায় চারদিক যখন পানিতে থৈ থৈ করবে তখন সিরাজগঞ্জ জেলার নিচু অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র উপায় নৌকা। তাই সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ বর্ষায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তৈরি করছেন চলাচলের উপযোগী ডিঙ্গি নৌকা, বর্ষাকে মোকাবেলা ও প্রস্তুতি নিতে এসব অঞ্চলে ছোট বড় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। নতুন নৌকা তৈরির পাশাপাশি পুরাতন নৌকা গুলোও মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এ মৌসুমে নৌকা কারিগরদের ব্যস্ততার শেষ নেই। তবে সারা বছর নৌকা তৈরির কাজ না থাকায় বর্ষা মৌসুমের অপেক্ষায় থাকেন নৌকা তৈরির কারিগররা
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া সলঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি উপজেলার হাট বাজার গুলোতে নৌকা তৈরি, পুরাতন নৌকা মেরামত ও বিক্রির ধুম পড়ে গিয়েছে।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও সলঙ্গার হাট বাজার ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারিগররা ছোট বড় নানান রকম নৌকা বানাচ্ছে। কেউ কাঠ কাটছে, কেউ রং করতে আবার কেউবা হাতুড়ি দিয়ে তারকাটা লাগাতে ব্যস্ত। কাজের ফাকে কথা হয় সলঙ্গা থানার শ্রী রামের গ্রামের নৌকা তৈরির কারিগর আঃ রহিমের সাথে তিনি বলেন, পনেরো বছর ধরে নৌকা তৈরির কাজ করি। বড় নৌকার চেয়ে ছোট নৌকার চাহিদা অনেক বেশী, একটি চোদ্দ হাতের ডিঙ্গি নৌকা তৈরি করতে দুইজন মিস্ত্র্রি একদিন সময় লাগে। এ নৌকাটি বিক্রি করা যায় ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। শিমুল, কাঠাল ,ইউকালেক্টার কদম সহ বিভিন্ন কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব নৌকা। উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া হাটের কাঠের ব্যাপারী মোজাম্মেল হক বলেন, বর্ষাকাল ছাড়া নৌকা তৈরির কাঠ কিনতে কেউ আসে না। ওই সময় গুলো ব্যাবসা মন্দা হয়ে পড়ে। কারিগররাও কষ্টে দিন পার করে। আমরা ব্যাবসায়ী ও কারিগররা বর্ষা মৌসুমের অপেক্ষায় থাকি। বর্ষা কালে নিচু অঞ্চলের মানুষ নৌকা বেশী ব্যাবহার করে। নিচু অঞ্চলের মানুষের নৌকা যাতায়াতের বাহন হিসেবে নৌকাই একমাত্র ভরসা, দুইজন মিস্ত্রী দিনে একটি করে ডিঙ্গি নৌকা তৈরি করতে পারে। যার বাজার মুল্য ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। নৌকা তৈরি করে দোকানে রেখে দুর দুরান্তের বিভিন্ন স্থানের ক্রেতার কাছে নৌকা বিক্রি করছি। প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিম জানান, নিচু এলাকার সড়ক গুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। আমাদের চলাচলের এমাত্র উপায় ডিঙ্গি নৌকা। বর্ষাকালে প্রতি মুহুর্তে নৌকা প্রয়োজন হয়। হাটে বাজারে, ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে , এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম বা অন্য পাড়ায় যেতে ডিঙ্গি নৌকা খুব দরকারী। রশিদপুর এলাকার কাঠ মিস্ত্রী আলম খন্দকার বলেন, সারাবছর ঘর তৈরির কাজ করি। কিন্তু বর্ষা কালে নৌকা তৈরির কাজ করি, এসম নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেকে নৌকা তৈরি করতে আসে। পুরো বর্ষার সময় জুড়ে নৌকা তৈরিতে ব্যাপক ব্যস্ততা। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বর্ষার সময় কাঠ মিস্ত্রিদের কাজের চাপ বেশী থাকে। আয় রোজগারও বেশী হয়।
