মামুন শিকদার মাহিন:
সখীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রুমি আক্তারের উপর যৌতুকলোভী স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।। আজ মঙ্গলবার সকালে ফোয়ারা চত্বরে মানববন্ধনে পৌরমেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের সাবেক কমান্ডার এমও গণি, মুক্তিযোদ্ধা এসএম আব্দুল্লাহ, ইদ্রিস আলী সিকদার, সাইদুল হক, খোরশেদ আলম, এমএ মান্নান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম ও হাসান আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ বুধবার সকাল নয়টা পাঁচ মিনিটে রুমি আক্তার বাদী হয়ে তাঁর স্বামীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সখীপুর থানায় মামলা করেন। মামলা রেকর্ড হওয়ার ৩৫ মিনিট পর সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাসা থেকে আসামি মিজানুর রহমান সবুজকে (৩৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওইদিন দুপুর ১২টার মধ্যে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি মিজানুর রহমান উপজেলার লাঙুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এরমাত্র ৩৫ মিনিট পর আসামিকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমি আক্তারের বাবা মেয়েকে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরের বছর মিজানুর একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। শ্বশুর জামাতাকে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেন। ২০১৭ সালে রুমির গর্ভে সন্তান আসে। আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদনে ‘কন্যা সন্তান’ জন্ম নেওয়ার খবরে তিনি অখুশি হন। তাই এক্ষেত্রেও ছেলে না হয়ে মেয়ে হওয়ার কারণে অস্ত্রোপচারের সব খরচ শ্বশুরের কাছে দাবি করেন ওই জামাতা। মেয়ের সুখের কথা ভেবে অস্ত্রোপচারের ২০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন রুমির বাবা। গত দুই বছর আগে চাকরিতে সমস্যার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন ওই শিক্ষক মিজানুর।
ইতিমধ্যে উপজেলার লাঙুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ওই শিক্ষককে ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান।