
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
মধুপুরে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় ৬০টি পরিবারের অসহনীয় দূর্ভোগ
আঃ হামিদ, মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরের ৬নং মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ৬০ টি পরিবারের চলাচলের কোন রাস্তা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন পরিবারগুলো বলে জানা যায়। এ এলাকার মাঝ খান দিয়ে প্রবাহিত মধুপুরের ঐতিহ্য বাহী বংশাই নদী। পর্শ্চিম পার্শ্বে শালিখা ফাজিল ডিগ্রী মারদাসা, দক্ষিনে বাগুয়া কবীরপুর, পূর্বপাশে গোসাইবাড়ী, উত্তরে ফাজিলপুর।
এরই মাঝ খানে অবস্হিতএ মির্জাপুরগ্রামটি। কিন্তু এ এলাকার ৬০ টি পরিবারের চলাচল করার মত কোন রাস্তা ঘাট না থাকায় তারা বিভিন্ন জনের জমির আইল দিয়ে চলাচল করে থাকেন। মধুপুর উপজেলার সবচেয়ে বেশী সবজী উৎপন্ন হয় এ মির্জাপুর গ্রামে। রাস্তা ঘাট না থাকায় তারা তাদের উৎপাদিত সবজী ঠিকমত বাজারে না নিতে পারায় তারা ন্যায্য মূল্য হতে বন্চিত হচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় প্রায় শতবর্ষ ধরে তারা অন্যের জমির আইল দিয়েই চলাচল করে আসছেন বলে জানা যায়।
এলাকার গোলাম কিবরিয়া জানান রাস্তা ঘাট না থাকায় আমাদের এলাকার ছেলে মেয়েদের বিবাহ থেকে শুরু করে আত্বীয়তা করতেও চায়না অনেকে। আমাদের এলাকায় উপজেলার সবচেয়ে বেশী সবজী উৎপাদিত হয়। কিন্তু আমাদের কোন প্রকার রাস্তাঘাট না থাকায় তা মাথায় করে বহন করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ভ্যান রিক্সায় নিতে হয়। এলাকার আঃ মান্নান জানান আমাদের চাষাবাদ করার জন্য পালিত গরুর কোন রোগ হলেও রাস্তা না থাকায় ডাক্তার আসতে চায় না। শরিফুল জানান রাস্তার না থাকার কারনে আমাদের এলাকার ছেলে মেয়েরা ঠিকমত স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। এলাকার মতিয়ার রহমান জানান শত বর্ষ ধরে আমাদের এ সমস্যা আজ পর্যন্ত কেও কোন রাস্তাঘাট করে না দেওয়ায় আমরা খুবই কষ্ঠে জীবন যাপন করছি। কেও অসুস্থ হলে তাকে চিকৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে এক কিলোমিটার কোলে করে নিয়ে তার পর রিক্সা ভ্যানে নিতে হয়।
বর্তমানে আমাদের পাশের বাড়ীর আরব আলী( ৬০) সে বর্তমানে প্যারালাইসিস রোগী তাকে বারবার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়যায় নিতেও কষ্ট হচ্ছে। গোলাম মোস্তাফা জানান আমার সন্তান সম্ভাবনা মেয়ের সিজারের জন্য তাকে কোলে করে নিয়ে পরে ভ্যান দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে পড়ুয়া ছাত্র রেজাউল করীম জানান আমাদের এলাকায় রাস্তাঘাট না থাকায় চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। ছেলে মেয়েরা ঠিক মত স্কুল মাদরাসায় যেতে পারছে না। এমন কি কেও অসুস্হ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া, কেও মারা গেলে তার লাশ বহন করে কবর ম্হানে নেওয়া আমাদের এলাকার মানুষের খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। এমতাবস্হায় এলাকার সকলেরই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবী সরেজমিনে তদন্ত করে তাদের এলাকার রাস্তাঘাট গুলো করে দিয়ে তাদের এ মানবেতর জীবন যাপন থেকে অবসান ঘটায়।
