সিনিয়র সাংবাদিক এস.এ.এম সাদেক এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাকে স্বরণ করেনি কে
মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও দৈনিক ভোরের কাগজ এর কুলিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি এস.এ.এম সাদেক এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাকে স্বরণ করেনি কেউ ।
জানা যায়, কিশোগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌর এলাকার পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের সর্বজন পরিচিত সিনিয়র সংবাদিক এস.এ.এম সাদেক ২০১৬ সনের ১২ এপ্রিল ভোর ৫ টার দিকে ঢাকা হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে মিলদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হলেও কুলিয়ারচর প্রেসক্লাব কিংবা তার হাতে গড়া স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান কুলিয়ারচর রিপোর্টের্স ইউনিটি এমন কি স্থানীয় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বরণ করা হয়নি তাঁকে। খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এক সময় তাঁর বস্তুনিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিল এলাকায় উন্নয়ন, সমস্যা, সম্ভাবনা, অপরাধ ও দূর্নীতির চিত্র। তখন সমাজের চোখে, প্রশাসনের চোখে তিনি ছিলেন একজন সাহসী কলম সৈনিক। আজ তিনি বেঁচে নেই। তাই তার কোন স্মৃতি মানুষের মাঝেও বেঁচে নেই। এমনি ভাবে কুলিয়ারচর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মরহুম মো. শাহাব উদ্দিন ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বর্গীয় বাবু পরিতোষ চন্দ্র সাহা সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। কয়েকদিন তাদের স্বরণ করার পর এখন আর কেউ তাদের কথা স্বরণ করেনা।
মরহুম এস.এ.এম. সাদেক এর ছেলে সাকিব হাসান পাভেল বলেন, বাবা’র ভালোবাসা ও তার গুরুত্ব আমি প্রতিটি ক্ষনে,ক্ষনে অনুভব করি বাবা’র স্মৃতি গুলো আমার সারা জীবনের অপূরণীয় গল্প। বাবা’র আদর, স্নেহ, মায়াভরা স্মৃতি গুলো আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। আমার চলার পথ যেন, বাবার ন্যায়-নীতি ও আদর্শের দ্ধারা পরিচালিত করতে পারি।
সকলের কাছে তিনি তার বাবা’র বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া কামনা করে বলেন, আল্লাহ্ যেন, তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত দান করেন।