
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
ইসমাইল হত্যার মূল আসামীর আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান
আবু সাঈদ চৌধুরী: টঙ্গীতে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইলকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করায় ঘটনার মুল আসামিকে গ্রেফতার করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব শাহ আলম এর নেতৃত্বে জিএমপির একটি চৌকস দল অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশ সার্বিক দিক নির্দেশনায় ভিকটিমের বাবা-মায়ের নিকট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যপ্রযুক্তিি ব্যবহার করে টঙ্গী পশ্চিম থানার এস আই ইয়াসিন আরাফাতের বিচক্ষণতায় মামলার ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামি মোহাম্মদ আতাউল হোসেন(৩৫) পিতা – মৃত ইমাম হোসেন ,গ্রাম- রামনগর, থানা -সাঘাটা জেলা গাইবান্ধা বর্তমানে সাং কামারপাড়া, থানা- তুরাগ ডিএমপি -ঢাকা কে গ্রেফতার করেন।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং জবানবন্দিতে জানা যায় সে সহ আরও দুইজন ভিকটিমকে ভিকটিমের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। ভিক্টম এর বাবার কাছে তারা পাঁচ লক্ষ টাকা চায়। টাকা না পেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল হোসেন কে হত্যা করে।
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করে তুরাগ নদীতে লাশ ফেলে দেয়া
ইংরেজি ১৯/০৩/২০২১ তারিখ টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ সন্ধ্যা অনুমান ৭:১০ এ একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ তুরাগ নদীর শাখা নদীর কিনারায় পানিতে চারদিকে হাত-পা ছড়ানো ভাসমান অবস্থায় আছে। মৃতদেহ পানিতে থাকায় শরীরের অধিকাংশ স্থান ফুলে এবং পঁচে বিকৃত হয়ে যায়।
এ ঘটনায় জিএমপির পশ্চিম থানার একটি চৌকস তদন্ত দল ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামি গ্রেফতারের জন্য কাজ করা শুরু করে। ধারণা করা হয় যে ইংরেজি ১৯/০৩/২০১৯ তারিখ বেলা ৬:১০ পূর্বে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা খুনি বা খুনিরা একই উদ্দেশ্যে হত্যা করিয়া আলামত গোপন করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহ তুরাগ নদীর পানিতে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা নাম্বার ২৫ তারিখ ২০/০৩/২০২১ সেকশন ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
উল্লেখ্য এই ঘটনায় ডিএমপির তুরাগ থানায় একটা নিখোঁজ জিডি হয়। জিডি নাম্বার ৯১১ তারিখ ১৮/০৩/২০২১।
উক্ত হারানো জিডির সূত্র ধরে টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি টিম ভিকটিমের অস্থায়ী ঠিকানা কামারপাড়ায় উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের বাবা-মাকে ছবি প্রদর্শন করে, ভিকটিমের জামা কাপড় দেখিয়ে, ভিকটিম যেখান থেকে মাথার চুল কাটে ওই নাপিত এর মাধ্যমে এবং বাবা-মায়ের মাধ্যমে ভিকটিমকে সনাক্ত করা হয়। ভিকটিমের নাম ইসমাইল সরকার(১৪) পিতা- মোঃ নূর নবী সরকার, মাতা -মোসাম্মৎ মাসুদা বেগম ,গ্রাম -ধানঘরা, থানা রায়গঞ্জ ,জেলা সিরাজগঞ্জ। সে কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

Prev Post