কালীগঞ্জে নিষিদ্ধ হাইব্রীড মাগুর চাষে পরিবেশ বিপর্যস্ত।
মোঃ লোকমান হোসেন পনির,
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি।
একটি কু-চক্রী মহলের আতাত করে গোপনে আফ্রিকান মাগুর চাষ করছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমুলিযায় । নিষিদ্ধ হাইব্রীড মাগুর চাষে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে। কালো নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত পানি খালে প্রবেশ করায়, ফসল চাষে খালের পানি ব্যবহার করতে পারছেনা। এলাকাবাসী। ওই সড়ক দিয়ে স্থানীয়রা যাতায়াতের সময় নাকে রুমাল চেপে যেতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, তুমুলিয়া ইউনিয়নের চরাখোলা এলাকায় ”সিজন এগ্রো ফার্ম” নামে একটি প্রতিষ্ঠান রাস্তা সংলগ্ন সাইনবোর্ড ঝুলে আছে। তবে মোবাইল নাম্বারটির শেষ অংশটি নেই। গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখাযায় ৪/৫ টি পোষা কুকুর রয়েছে যা পাহারাদারের ভুমিকা পালন করছে। ভেতরে ২টি পুকুরের রয়েছে, একটি বড় ও একটি ছোট। বড়টিতে বড় ধরনের মাগুর যার প্রতিটির ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি ও ছোটটিতে পোনা মাগুর চাষ করেন। পুকুর থেকে একটি পাইপ খালের সাথে যুক্ত করে মোটরের মাধ্যমে নোংরা পানি সহজে খালে ফেলা হচ্ছে।
জানা যায়, খালটি কৃষি কাজের জন্য পানি সরবরাহ করতে খনন করা হয়েছিল, কিন্ত দুর্গন্ধের কারনে পানি ব্যবহারতো দুরের কথা কৃষক খালের ধারেও পৌছতে পারছেনা। এদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় বা পানি না পাওয়ায় ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে ও নোংরা পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
মাগুরের খাবার হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলের অতিরিক্ত নষ্ট খাবার, মুরগী, খাশি ও গরুর বৈজ্য, মরা পশু কভার্ড ব্যানের মাধ্যমে এনে পুকুরে ফেলে দিলে মাগুরের ঝাক মূহুর্তের মধ্যে সাবার করে দেয়ার চিত্র দেখা গিয়েছে। পরে মাগুর মাছের র্নিগত বর্জ্য পানিকে কালো, দূর্গন্ধ, নোংরা করে তোলে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক পরিবার অভিযোগ করে বলেন, তাদের কারনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতে পারছিনা, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এর একটি বিহিত করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে প্রকল্পের কর্ণধার মো. সাইদুল ইসলাম এর সাধে কথা বলতে গেলে তিনি তার আইনজীবি এস,বি দেবনাথ এর সাথে কথা বলতে বলেন, তিনি জানান, ২০১৪ সালে তৎকালীন মৎস্য মন্ত্রী স,ম রেজাউল করিম ১৯৫ অনুচ্ছেদে হাইব্রীড মাগুর চাষ অবৈধ বলে গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। পরে হাইব্রীড মাগুর চাষ অবৈধ নিষেধাজ্ঞার আইনটির বিরুদ্ধে নিন্ম আদালতে রিট দায়ের করেন। মহামান্য আদালত রিটটি খারিজ করার কারনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক উচ্চ আদালতে খারিজের বিরুদ্ধে আবার আপিল করেন। যার নং ৬৫/৭৩ যা এখনো শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ আদালতের রায় উপেক্ষ করে ৫/৬ বছর যাবত নিষিদ্ধ মাগুর চাষ করে আসছে। নোংরা র্দূগন্ধযুক্ত পানি ব্যাবহার করতে পারছিনা। ফসলেও দিতে পারছিনা। ছেলে/মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি তারাও খালের পনিতে সাতার কাটতে পারছেনা। এক সময় আমরা খালের পানিতে গা গোছল সারতাম এখন কাছেও যেতে পারিনা
সরকারের নিকট এলাকাবাসীর আবেদন ও কৃষকের কথা ভেবে যথা শিঘ্র সম্ভব এর একটি বিহিত করা হোক।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিকের সাথে কথা বলতেগেলে তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে পরামর্শ প্রদান করেন।
তুমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর মিয়া বলেন, তাদের নিষিদ্ধ মাগুর মাচ চাষের ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়নি। পরিবেশ ক্ষতিকারক হাইব্রীড মাগুর চাষ বন্ধ হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসা: সাদিয়া রহমান (বিসিএস মৎস্য) সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, মৎস্য সংরক্ষন আইনে আফ্রিকান মাগুর চাষ, পরিবহন এবং সংরক্ষণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কালিগঞ্জে এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা ছিলনা, এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোবাইল র্কোট করা হবেকিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আইন খতিয়ে দেখে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যেতে পারে।