কুলিয়ারচরে উৎকোচের টাকা না দেওয়ায় এক দপ্তরীর ৬ মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধ
মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে চাহিদা মতো উৎকোচের (ঘুষ) ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় জনতা আইডিয়াল জুনিয়র হাই স্কুলের দপ্তরী ফরিদ মিয়ার ৬ মাসের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষক মো.কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বড় ছয়সূতী গ্রামের মৃত মহর আলীর পুত্র ফরিদ মিয়া (৩২) অভিযোগ করে বলেন, তিনি সরকারি বিধি মোতাবেক গত ২০০৪ সনের ১ অক্টোবর জনতা আইডিয়াল জুনিয়র হাই স্কুলের দপ্তরী হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৯ সনে তিনি দপ্তরী হিসেবে এমপিও ভূক্ত হয়ে ২০২০ সন থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছে। বর্তমানে তার বেতন ভাতা ৯৩০৩ টাকা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম ওই দপ্তরী ফরিদ মিয়ার নিকট ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ (ঘুষ) দাবী করে আসছে। চাহিদা মত ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ (ঘুষ) দিতে না পারায় ওই প্রধান শিক্ষক দপ্তরী ফরিদ মিয়ার বেতন ভাতা ভাউচারে স্বাক্ষর না দিয়ে বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়। এতে দপ্তরী ফরিদ মিয়া বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্যের উপস্থিতিতে ওই প্রধান শিক্ষক দপ্তরী ফরিদ মিয়াকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করে দিয়ে বিদ্যালয় অফিস কক্ষ ও শ্রেণী কক্ষের দরজায় নতুন তালা লাগিয়ে চাবি তার হাতে রেখে দেয়।
এ ব্যাপারে দপ্তরী ফরিদ মিয়া গত ২৮ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন।
গত ৩১ মার্চ জেশিঅ/কিশোর/২০২১/৫৬২ স্মারক মূলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে দপ্তরী ফরিদ মিয়ার ৫ মাসের বেতন ভাতাদি উত্তোলন না করতে দেওয়ার সু-স্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকসুদা তার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান শিক্ষক বরাবর প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো.কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে অফিস কক্ষ ও শ্রেণী কক্ষে নতুন তালা লাগানোর সত্যতা স্বীকার করে উৎকোচের টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, দপ্তরী ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে দিয়েছে। তাই তার বেতন ভাতা দেওয়া বন্ধ রেখে বিদ্যালয় আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তাকে বলা হয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এডহক কমিটির সভাপতি বরাবর বেতন ভাতা চেয়ে একটি আবেদন করার জন্য।