গাজীপুর শ্রীপুর (প্রতিনিধি) :
ভুয়া ক্রেতা- বিক্রেতা সেজে বিক্রি করার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় জমির প্রকৃত মালিক শামছুন্নাহার বাদী হয়ে আদালতে দলিল বাতিলের মামলা করেছেন যার মামলা নং সাবেক ১০২,পরবতীত ইহার নতুন নং ২৩২ ।
মামলার বিবরণে থেকে জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন নিগুয়ারী ইউনিয়নের চামুর্থা গ্রামের অললী মৌজার সি.এস খতিয়ান ১১৮ এবং এস.এ খতিয়ান ১৪৯ ও বি,আর,এস খতিয়ান ৫৬৬ সাবেক দাগ নং ৪৭৭ যার হালদাগ নং ১৬১৮ এর স্থায়ীসুত্রে প্রাপ্ত মুল মালিক শামছুন্নাহার । তিনি অত্র দাগে ৩১ শতাংশ জমির মালিক।
এই ৩১ শতাংশ জমির ভুয়া মালিক সেজে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ১.সন্ত চন্দ্র বর্মন ২. সুকোল চন্দ্র বর্মন ৩. শোসেন চন্দ্র বর্মন ৪.বিকাশ চন্দ্র বর্মন পিতা খগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, ৫. শুধাংশু বর্মন ৬. হিমাংশু বর্মন ৭. শংকর ৮. খোকন বর্মন, সর্বপিতা নগেন্দ্র বর্মনের ছেলেরা ১৮-০৬-২০ ইং তারিখে গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের ১.মোঃ আমানউল্লাহ ২. আবদুল্লাহ হাসান উভয় পিতা মৃত আব্দুল বাতেনের নিকট বিক্রি করেন।যার দলিল নং ১০৯২। উল্লেখ : আব্দুল্লাহ হাসান বঙ্গবন্ধু মেডিকেল (পিজি হাসপাতালে) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে কর্মরত।
জমির মালিক শামছুন্নাহার জানান, তিনিসহ তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করছেন। এই সুযোগে ক্রেতা ১. আমানউল্লাহ ২. আবদুল্লাহ হাসান কৌশলে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ভুয়া মালিক দেখিয়ে ৩১ শতাংশ জমি নিজেদের নামে রেজিস্ট্র করেন।
বাদী শামছুন্নাহার জানান, ১৯৫৬ সালে মহেন্দ্রের কাছ থেকে রামচরন জমি ক্রয় করেন। রামচরন থেকে ১৯৬১ সালে মমতা বর্মন এবং ১৯৬১ সালে মমতা বর্মন থেকে আমি ও আমার স্বামী মৃত আব্দুল হামিদ উক্ত জমি ক্রয় করি। যা ৬৭৫ নং খারিজী খতিয়ানে যৌথভাবে খাজনা পরিশোধ করিয়াছি। বর্তমানে জমিটি ইটভাটা মালিক হাবিবুল্লাহ শেখ এর কাছে ভাড়া দেওয়া আছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬,৬০০০০ টাকা।
উল্লেখ্য মহেন্দ্র চন্দ্র দাস, যতিন্দ্র চন্দ্র দাস,ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাস মারা যাওয়ার পর যতিন্দ্র চন্দ্র দাস এর মেয়ে শ্রাবতী ব্যতীত তাদের আর কোন উত্তরসূরি নাই । পরবর্তীতে এই জমি পুর্ব মালিক (মহেন্দ্র, যতিন্দ্র ও ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাস) এর নামে ভুলবশত রেকর্ড হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিবাদী ভুয়া দলিল তৈরি করে কয়েকবার জায়গা দখলের চেষ্টা করে এবং ইটভাটা মালিক হাবিবুল্লাহ শেখ এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসীরা কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু বিবাদীপক্ষের নিম্ন মানসিকতার কারনে তা সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
ভুয়া দলিল দেখিয়ে বিবাদীগন জমির মালিকানা দাবি করলে আমরা ২৯-০৬-২০ ইং তারিখে নকল তুলি এবং জাল দলিল দেখে হতবাক হয়ে পড়ি। ফলে এই দলিলটি বিবাদীগনের নয় মর্মে ঘোষনামূলক ডিক্রির দাবিতে মোকদ্দমায় নির্দিষ্ট কোর্ট ফি যোগে অত্র মামলা দায়ের করা হয়।
বর্তমানে আদালতের কাছে আমার একান্তই প্রার্থনা, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষ জমির ভুয়া দলিল বাজেয়াপ্ত করা হোক। এবং ভুয়া ক্রেতাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
