স্ত্রীকে ফিরে পেতে সবার সহযোগিতা চান রাতুল-
স্ত্রী নিখোঁজ,স্বামীর জিডি!
নিজেদের পছন্দে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। নিয়েছেন আলাদা বাসা। ভালই যাচ্ছে দিনগুলো। হাত থেকে বিয়ের রংও যাই নি এখনো। এরই মধ্যে নিখোঁজ হয়েছেন প্রিয়তমা স্ত্রী। এই ঘটনায় একদম ভেঙ্গে পড়েছেন স্বামী রাতুল। ফিরে পেতে হন্যে হন্যে হয়ে খুঁজছেন প্রিয়তমা স্ত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় উপজেলার পঞ্চগড় পৌরসভার নতুনবস্তি এলাকায়। একই মহল্লায় বাড়ি স্বামী ও স্ত্রী দুইজনেরই। গ্রামের আবদুর রশিদ ও হাসনাহেনার ছেলে মেহেদী হাসান রাতুল আর অন্যদিকে আকবর আলী ও ফাতেমা পারভীনের মেয়ে রোমানা আফরোজ রুবি। প্রতিদিনের মত শহরের ভাড়া করা বাসা থেকেই নারী অঙ্গন শো রুমের মহিলা ডিপার্টমেন্টে কাজ করতে যাওয়ার সময় থেকেই নিখোঁজ রোমানা রিয়া। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান রঙ বেরং পুরুষ ডিপার্টমেন্টে ডিউটিরত স্বামী মেহেদী হাসান রাতুল জানতে পেরে চারদিকে সকল আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধবসহ সকলের বাসায় স্ত্রীকে খুঁজতে থাকেন। অবশেষে পঞ্চগড় সদর থানায় জিডি করেন। জিডি নং ১৯৫৩, তাং ২৯-০৮-২০২৩ ইং। জিডির কাগজ অনুযায়ী ২৮ আগস্ট সোমবার আনুমানিক ১১ টা থেকে তার স্ত্রী রোমানা আকবর রিয়া নিঁেখাজ রয়েছে। নিখোঁজের আলামত অনুসারে রিয়া বাসায় মোবাইলসহ কাপড়চোপড় সব রেখে গেছে। পরণের জামা কাপড় বোরকা ছাড়া কিছুই নিয়ে যাইনি সে। নিকাহনামা কাগজমতে, রাতুল ও রিয়ার শরীয়াহ সম্মতভাবে ২০২২ সালের ২ মার্চ ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯শত ৯৯ টাকায় কাজী অফিসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রাতুলের পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৬৭৭৩৩১৯৫, রিয়ার পরিচয়পত্র নম্বর ২০০৩৭৭১৭৩৩৫১০৬৪৯৫ । রাতুলের সন্দেহ- ২৮ তারিখ তার শুশুর আকবর আলী ও শাশুড়ী ফাতেমা পারভীন পঞ্চগড় থেকে কুমিল্লার লাকসামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সেই সময়ে বাসা থেকে বের হয় রিয়া। তারাই তাকে জোর করে লাকসাম নিয়ে আসে। উল্লেখ্য যে আকবর আলী দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে আবুল খায়ের কোম্পানীর মেকানিক্যাল ফোরম্যান হিসেবে লাকসাম অফিসে নিয়োজিত রয়েছেন। আকবর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সঠিক তথ্য জানা যেতে পারে। রাতুল তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।