গলাচিপার আমখোলায় রাস্তার বেহাল দশা,জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে
মোঃনাসির উদ্দিন গলাচিপা পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার ১ নং আমখোলা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাশবুনিয়ার রামদুলা গ্রামে রাস্তার বেহাল দশার কারনে মানুষ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মুদির হাট থেকে কাজী ষ্টান্ড পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে কাঁচা রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বেশিরভাগ রাস্তার অবস্থা এমন হওয়ায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জনসাধারণের চলাচল। এতে সাধারণ মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রামদুলা গ্রামের মাটির রাস্তাগুলো বৃষ্টির কারনে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কিছু যায়গায় ডুবে গেছে
স্থানীয়রা জানান, ১ নং আমখোলা ইউনিয়নের এলাকাধীন ৫ নং ওয়ার্ডের রামদুলা,মুদিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে ঐ ওয়ার্ডের বসবাসকারী জনসাধারন হাট বাজারে ও স্কুল কলেজের, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতে চরম অসুবিধায় পড়তে হয় এছাড়াও মুসুল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে খুব কষ্ট হয়। রাস্তাটি মাটির হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মহিলা শিশু বয়োবৃদ্ধসহ অনেকে,অনেক সময় পা পিছলে বিভিন্ন রকমের আঘাতে পতিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান ভ্যান চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার বিস্তার অভিযোগ, রাস্তার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট হয়, কিন্তু রাস্তা ঠিক হয় না। আজ রাস্তা ঠিক করলে, কালকেই তা আবার নষ্ট হয়ে যায়। ভাঙা রাস্তার কারণে ভ্যানটানা খুব কষ্ট হয়। একটু ভারী মাল থাকলে গাড়ি উল্টে যায়।
‘দুদিন পর পর রাস্তা ঠিক করে, আবার নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। তারমধ্যে একটু বৃষ্টি আসলে সব ডুবে যায়। মানুষ শান্তি মতো চলাচল তো দূরের কথা, বাজারঘাটও ঠিকভাবে করতে পারে না। রাস্তাটি অতিদ্রুত মেরামতে সরকারের উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ১ নং আমখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কামরুজ্জামান মনির হাওলাদার বলেন, জনভোগান্তির কথাটি আমরা জানি। এই মুহূর্তে কোনো বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি কবে নাগাদ ঠিক করা হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের মাথায় আছে এবারের নতুন বাজেটে কিছু একটা করার চেষ্টা করবো। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আকন মুঠোফোনে বলেন কিছু রাস্তায় টেন্ডার হয়েছে আশাকরি বাকিটাও হবে এমন আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।