তানোরে ইউপি যুবলীগ সভাপতিকে পেটালো আপন ভাই
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরনজাই ইউপি সদস্য ও নবনির্বাচিত ইউপি যুবলীগের সভাপতি সেলিম উদ্দিন কে বাড়ি ভিটার জায়গা নিয়ে আপন বড় ভাই কোদালের পাশি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ফেটে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দুপুরের আগে নিজ বাড়ি ইউপির ভাগনা উত্তর পাড়া গ্রামে ঘটে মারপিটের ঘটনাটি। দুপুরের দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেলিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার মাথায় চারটির মত সেলাই লাগে। তবে লোক জানাজানির ভয়ে সেলিম সেলাই দিয়েই বাড়িতে চলে যান। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ইউপি বাসীর মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, কেউ বলছেন উচিত শিক্ষা, আবার কেউ বলছেন পদের বাহাদুরি, এজন্যই আপন ভাই দিয়েছে উত্তম মাধ্যম।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন ( ইউপির) সরকার পাড়া থেকে মোহর রাস্তার ভাগনা মোড় দিয়ে পশ্চিমে গ্রামের রাস্তার দক্ষিণে মেম্বার সেলিমের পাকা বাড়ি। বাড়ির পূর্ব দিকে পুকুর ও সেলিমের বাড়ির পশ্চিমে তার পিতা শাহজাহানের বাড়ি। সেলিমের বাড়ির দক্ষিণে বাড়ি করছেন তার বড় ভাই শাহিন। সেখানেই ছিলেন সেলিমের স্ত্রী তিনি জানান মাথায় সেলাই দেওয়ার পর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল, বিকেল চারটার দিকে সরকারপাড়া বাজারে গেছেন। আমার স্বামী নিয়ম মতই বাড়ি করছেন কিন্তু তার বড় ভাই ইট ফেলার বিষয়ে কথা বলতে বলতে মাথায় আঘাত করেন। সেখান থেকে আশার পর গ্রামের একাধিক মহিলা পুরুষ রা জানান, সেলিম মেম্বার হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া চলাফেরা। দেশীয় চোলাই মদ সেবন করে যাকেতাকে গালিগালাজ করে থাকেন এবং উচ্চস্বরে কন্ঠ বলেন আমি মেম্বার, আমি যুবলীগের সভাপতি আমার কথার বাহিরে কেউ গেলে তার খবর আছে। আবার তো নানা বানিজ্য আছেই।এরাই দলের সর্বনাশ ডেকে আনছে। যে নেতা নিজের ভাই বোন পিতাকে অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে পারে তার কাছ থেকে জনগণ কি আশা করবে। আমরা সেলিমকে ভোট দিতাম না, শুধু তার পিতা, বিধবা বোন ও তার বড় ভায়ের জন্য ভোট দিয়েছিলাম। তখনও আমরা বলেছিলাম তোমাদের কথায় ভোট দিব, কিন্তু সেলিম মেম্বার হলে তোমাদের উপর নির্যাতন করবে। সেটাই হচ্ছে, তার বিধবা বোনকে নেশা খেয়ে যে ভাষায় গালমন্দ করে কোন সুস্থ মানুষ শুনতে পারবে না। আর তার মত ব্যক্তিকে ইউপি যুবলীগের সভাপতি করছে। কিছুই বলার নাই সময়ের জবাব সময়ে হবে।
মেম্বার সেলিম জানান, বাড়ি ভিটে নিয়ে আমরা ভায়ে ভায়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে।আমার মাথা দিয়ে রক্ত বের হওয়া মাত্রই ভাই রক্ত বন্দের চেষ্টা করছিলেন বলে দায় সারেন।
তার বড় ভাই শাহিন বলেন, বাড়ি করার সময় উভয়ের দু ফিট করে চার ফিট জায়গা ছাড়ার কথা। আমি দুফিট ছাড়লেও সেলিম এক ফিট ছেড়েছে। কিছু বললেই গালমন্দ থেকে শুরু করে নানা অশ্লিল ভাষা ব্যবহার করেন। তাকে নাকি আপনি কোদালের পাশি দিয়ে মাথায় আঘাত করার জন্য ফেটেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোদাল আমার হাতে ছিল। কিন্তু কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমি কোদাল তুললে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার মাথায় আঘাত লাগে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, প্রতিদিনই অভিযোগ পড়ে। এঘটনায় অভিযোগ হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা।
সারোয়ার হোসেন