স্মৃতিময় প্রায় ১০ লাখ টাকার ব্রীজে বছর না যেতেই ভয়াবহ ফাটলা ক্ষুব্দ
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের স্মৃতিময় ঐতিহ্যবাহী প্রায় ১০ লাখ টাকার ব্রীজে বছর না যেতেই ভয়াবহ ফাটল ধরেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পৌর সদর গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠের পূর্ব দিকে গুদাম ও বীল সংযোগ সড়কের উত্তরে গত বছর পৌরসভা থেকে নির্মান করা হয় ব্রীজটি। কিন্তু নির্মান কাজে নিম্মমানের সামগ্রী ও রোড ব্যবহার না করায় এভাবে ফাটল ধরেছে। টানা ভারি বর্ষন হলে খালের স্রোতের সাথে বিলিন হয়ে পড়বে ব্রীজ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে নির্মান কারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পৌর কর্তৃপক্ষ কে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোল্লাপাড়া খাদ্য গুদাম ও সেতু সংযোগ সড়কের উত্তরে কুঠিপাড়া গ্রাম বাসীর পারাপারের জন্য গত বছর খালের উপর নির্মান করা হয় ব্রীজটি। কিন্তু ব্রীজে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন মূহুর্ত্বে ধসে পড়বে। কারন খালের উপর নির্মান করা হয়। যদিও আষাঢ় মাসে টানা বৃষ্টি হয়নি। তবে দুচার দিনের ভারি বর্ষন হয়েছে। বর্তমানে বৃষ্টির পানির দেখা নেই। টানা ভারি বর্ষন হলে খালটি দিয়ে উপজেলার পশ্চিম এলাকার পানির স্রোত নেমে বিলে যায়। সে রকম স্রোত হলে ব্রীজটি তচনছ হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নির্মান কাজটি করা হয়েছে একেবারে নিম্মমানের ইট খোয়া বালু সিমেন্ট ও চার সাইডে কোন রোড ব্যবহার না করার জন্যই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজের ফাটলের ছবি তুলতেই কুঠিপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা বলেন এই ব্রীজ মেয়র ইমরুলের ও তার ভাই রানার বাড়ির গেটে নিয়ে ফেলা হবে। চোরের মত কাজ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্রীজের কাজটি মেয়রের ছোট ভাই সোহেল রানা করেছেন। কিভাবে করেছে মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলী ভাল জানেন। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মত আ"লীগ থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে উন্নয়নের মহা বার্তা দিয়েছিল মেয়র ইমরুল।কিন্তু তিনি নামে মেয়র যত রকমের কাজ আছে সবকিছুর দায়িত্বে থাকে তার ভাই সোহেল রানা। যতগুলো কাজ হয়েছে সবগুলো ধাপ্পাবাজির কাজ করেছে। কোনটা মাস আবার ৬ মাস কিংবা বছরের মধ্যে ভেঙ্গে একাকার
হয়ে পড়েছে। সে আগের মেয়রের নানা প্রকল্পের কাজ করছেন। তিনি শুধু এডিবির বরাদ্দ ছাড়া কিছুই আনতে পারেন নি।
বেশকিছু কাউন্সিলরেরা জানান, গত ঈদূল আজহায় দরিদ্র দের জন্য চাল বিতরনের উদ্ধোধন করেন এমপি ফারুক চৌধূরী। এমপিকে মেয়র অবহিত করে আট কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। এমপি তার বক্তব্যে বলেন মেয়র ইমরুল ভাই আমার কাছে আসেনা, সে অন্য এমপি মন্ত্রীর কাছে ধরনা দেন। আমার কাছে এলে আট কোটি না আশি কোটি টাকার উন্নয়ন হত পৌরসভায়। আসলে এমপিতো ঠিকই বলেছেন। যে সব কাজ হচ্ছে ইচ্ছেমত। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এডিবি টাকার কোন কাজ হয়নি। হয়তো আগেরগুলো দেখিয়ে সব লুটপাট হচ্ছে।
মেয়রের ভাই সোহেল রানার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী আলহাজ্ব সরদার জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে বিভিন্ন নম্বর থেকে কয়েকদিন ধরে ফোন দেয়া হলে তিনিও রিসিভ করেননি। কাজ ছাড়া অফিসে আসেন না তিনি।
তবে পৌরসভায় গিয়ে মেয়র ইমরুলের কাছে ব্রীজের বরাদ্দ কত ছিল, কোন ঠিকাদার করেছে, নাকি আপনার ভাই করেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আমি কিছুই বলতে পারব না। আপনি মেয়র কত টাকার কাজ সেটাও জানেন না, আপনার ভাই নাকি কাজ করেছে, আর ১০ লাখ টাকার ব্রীজ এটি প্রশ্ন করা হলে কোন সদ উত্তর না দিয়ে নানা তালবাহানা করে এড়িয়ে যান।
সারোয়ার হোসেন