বিদ্যুৎ ইউনিট বাড়ার অজুহাতে বাকেরগঞ্জ চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে জন হয়রানি
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি :-
-বাকেরগঞ্জ চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে জন হয়রানি!
বিগত বেশ কিছু মাস যাবত - অটো মালিক সমিতির নামে - শুধু মাত্র নাম হিন সাক্ষর কৃত কাগজে ভাড়া-তালিকা করে এই হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগনের বক্তব্যে উঠে আসে এমন অভিযোগ।
সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান - পূর্বের ভাড়ার থেকে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করে - জন প্রতি দূরবর্তী স্থানে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন অটো মালিক সমিতি। কোন রকম প্রশাসনিক আদেশ ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছে মত ভাড়া বাড়িয়ে চলছে জন হয়রানি। এ বিষয় খোজ খবর নিলে দেখা যায় - তাদের তালিকায় পূর্বের ভাড়ার থেকে বর্তমানে- বাকেরগরঞ্জ টু নিউ মার্কেট ১৫ টাকা, পূর্বে যা ছিল ১০ টাকা, বাকেরগঞ্জ টু ভবানিপুর ২০ টাকা পূর্বে যায় ১০ থেকে ১৫ টাকা, বাকেরগন্জ টু ডাক্তার বাড়ি ২৫ টাকা যা পূর্বে ২০ টাকা, বাকেরগন্জ টু হাসান নগর ও বাংলাবাজার ৩০ টাকা যা পূর্বে ২০ থেকে ২৫ টাকা,বাকেরগন্জ টু মধ্যম মহেশপুর ৩৫ টাকা যা পূর্বে ৩০ টাকা, বাকেরগন্জ টু মহেশ পুর ৪০ টাকা, যা পূর্বে ৩৫ টাকা, বাকেরগন্জ টু নতুন বাজার ৪৫ টাকা যা পূর্বে ৩৫ টাকা, বাকেরগন্জ টু চামটা ৫৫ টাকা যা পূর্বে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বাকেরগন্জ টু নিয়ামতি ৬০ টাকা পূর্বে ৫০ টাকা ছিল, যা নিয়ামতি থেকে বরিশাল গনপরিবহনের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি।
নিয়ামতি থেকে চামটা রাস্তা খারাপ এর নামে ৫ টাকার ভাড়া ১০-১৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মার্কেট থেকে ভবানিপুর কিংবা কমপ্লেক্স যেখানেই নামা হয় না কেন ১০-১৫ টাকা করে প্রতিজনের ভাড়া গুনতে হয়ে। রাস্তার দূরত্ব ও অটো এর চার্জ হিসাব করলে যা পূর্বের ভাড়ার থেকে অনেক টা অতিরিক্ত।
এ বিষয় কিছু অটো চালক এর সাথে কথা বল্লে তারা জানান -নিত্যপন্যের দাম চড়াও ও বিদ্যুৎ ইউনিট বাড়ার ফলে এমনটা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ইউনিট হিসাব করলে - যে খানে আনুমানিক একটি অটো চার্জে পূর্ব খরচ পরতো ১০০-১৫০ টাকা যা এখন ২০০ টাকা বা তার একটু বেশি। এমন অবস্থায় প্রতিটি ট্রিপে তাড়া ৫-১০ টাকা করে বেশি নিয়ে তাদের ব্যয় কৃত খরচের থেকে অতিরিক্ত আয় করছে। তাছাড়া রাত ৯ টার পর বাকেরগন্জ অটো স্টান্ড থেকে দূরবর্তী যাত্রী পেলেই চলে সিন্ডিকেট ৫০ টাকার ভাড়া হয়ে যা ১০০ টাকা। দিন দিন এমন দূর অবস্থায় নেই কোন প্রশাসনের কর্নপাত- লাইসেন্স বিহীন এ অটো চালাতে সুবিধা হওয়ায় শিশুদের ও চালক হিসেবে দেখা যাচ্ছে -যার ফলে বাড়ছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা। এবিষয়ে সামাজিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দরা জানান উপজেলা প্রশাসন এবিষয়ে হস্তক্ষেপ না করায় দিন দিন বাড়ছে এমন সিন্ডিকেট।
এমন অবস্থায় ভাড়া হয়রানি ও দূর্ঘটনা ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন এর দুরত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সাধারণ মানুষ।