সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শানে রচিত ৫৫টি গান পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে গানের সম্রাট মরহুম বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এঁর ১২১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
৫ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ টা থেকে ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধে ট্যাকেরঘাট সাবসেক্টরের যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার এডভোকেট আলী আমজাদ।
বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি মহিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক বাউল আল-হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন,সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ,আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ ফজলুল হক,যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম.এ শাহিদ,জেলা কৃষকলীগ নেতা শাহ আলম সেরুল,ছাদিকুর রহমান ছাদিক,সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ,গীতিকার শাহিনা জালালী পিয়ারা,গীতিকার আব্দুল আজিজ চৌধুরী,গীতিকার নির্মল কর জনি ও গীতিকার সামসুল আলম প্রমুখ।
পরে দুদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শানে বাউল কামাল পাশা রচিত রচিত ৫৫টি দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন,বাউল কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বাউল তছকীর আলী,বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল,বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি বাউল শাহজাহান সিরাজ,সাংবাদিক রাজু আহমদ রমজান,বিটিভি শিল্পী তুলিকা ঘোষ চৌধুরী,বাউল ফারুক আহমদ,বাউল আমজাদ পাশা,বাউল শফিকুন নূর,বাউল এখলাছ দেওয়ান,বাউল জুবায়ের বখত সেবুল,বাউল বিভাষ দে,শিল্পী রাসেল আহমদ,তারিফ মিয়া,পর্নিমা শুক্ল বৈদ্য,শাহীন আলম ও শিশু শিল্পী প্রীতি মন্ডলসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহরের জেল রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড এর যৌথ উদ্যোগে ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শত্রæমুক্ত দিবসের র্যা লি পূর্ববর্তী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের শিল্পীরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাউল কামাল পাশা রচিত দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন।
উল্লেখ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশের সর্বপ্রথম সংগীত রচয়িতা বাউল কামাল পাশা ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি জেলার দিরাই থানার রাজানগর স্কুল প্রাঙ্গনে পরিবেশন করেন “শেখ মুজিব কারাগারে আন্দোলন কেউ নাহি ছাড়ে/সত্যাগ্রহে এক কাতারে সামনে আছেন সামাদ ভাই/ঢাকার বুকে গুলি কেন নুরুল আমিন জবাব চাই” শীর্ষক দেশাত্ববোধক গানটি। তিনি ১৯০১ ইং সনের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহন এবং ১৯৮৫ সালের ৩রা মে মৃত্যুবরন করেন। সুনামগঞ্জ জেলার ৫ প্রধান লোকবির মধ্যমণি বাউল কামাল পাশা ঐতিহাসিক নানকার আন্দোলনের অগ্রনায়ক,ভাটি অঞ্চলে পালা গানের প্রথম প্রবক্তা,গ্রামোফোন গায়ক,ভাষাসৈনিক,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকসহ বহুগুনে গুনান্বিত একজন অগ্রজ মরমী সাধক। তিনি ভাটিঅঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর একাধিক সভামঞ্চে সংগীত পরিবেশনসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় প্রায় ৬ হাজার গান রচনা করেন।