১৪ দল আছে এবং থাকবে। তাই ১৪দল নিয়ে কোন বির্তক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
বৃস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণ আজাদী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন, ১৪ দল আছে থাকবে, ভাঙ্গার কোন কারণ নেই। সোনার বাংলা গড়ার যে সপ্ন দেখেছেন বঙ্গবন্ধু সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে ১৪ দল কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে কাজ করবে।
১৪ দলের নেতৃত্বে একাদশ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে পেরেছি এমন দাবি করে তিনি বলেন, ১৪ দল ক্ষমতার লোভে সৃষ্টি হয়নি। এ দল শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়ন করার লক্ষে সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনও নিঃশেষ হয়নি, তারা চুপ করে আছে। যে কোন মুহূর্তে মাথা উঠিয়ে দাঁড়াবে। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আবারও দরকার হলে মাঠে নামব আমরা।
নাসিম আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে সংসদে যে ধরনের বিরোধী দল থাকার দরকার ছিল সে দল নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ১৪ দল রয়েছে। তাই আমাদের আদর্শ শেখ হাসিনাকে এ সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে রক্ষা করতে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে ভুল ধরিয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। যাতে করে সাথে সাথে ভুল সংশোধন করে ফেলতে পারে।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে যার যার দল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অনুরোধ করব যেন উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়। সেজন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে।
জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, শুক্রবারে (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চা-চক্রে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসবে ১৪ দল। সেখানে ঢাকায় যেন মাওলানা তর্কবাগীশ স্মৃতিচিহ্ন করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাবে ১৪ দল।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসে যারা ভুল করেছে তারা এখনো ভুল স্বীকার করেনি, মাফও চাই নি। যেমন, ৭১, ৭৫, ২১ আগস্ট নারকিয় হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিএনপি ও জামায়াত জড়িত রয়েছে অথচ তারা এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের পরও ভুল স্বীকার করে নি, জনগণের কাছে মাফ চায় নি।
এখনো তারা রাজনীতির ময়দানে ঘুরাফেরা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যতদিন বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশের জনগণের কাছে মাফ না চাইবে ততদিন এরা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যান হবে। এরা যতদিন বাংলাদেশের রাজনীতি থাকবে ততদিন রাজনীতি হুমকির মুখে থাকবে।
সাবেক এ তথ্য মন্ত্রী বলেন, বিএনপি/জামায়াত এ অশুভ শক্তিকে জামাই আদর করে বিরোধী দলে বসানো উচিত হবে না বলে আমি মনে করি। তাদেরকে রাজনীতি থেকে বিদায় করা উচিত। তা না হলে এ সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে দাড়াবে।
গণ আজাদী লীগ এর সভাপতি এস কে সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, গণ আজাদী লীগ এর প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ শামসুল আলম হাসু তর্কবাগীশ, মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান প্রমুখ।
সূত্র: দৈনিক জাগরন