এশিয়ার এক নম্বর দল। বিপরীতে ধুঁকতে ধুঁকতে বেঁচে থাকা একটা দেশের ফুটবল দল। কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইয়ের আগে এই দুই বাক্যই যথেষ্ট। আগামী বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতার, প্রস্তুতিও চলছে সেভাবেই। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী থাকতে পারে?
রক্ষনাত্মক কৌশল অবশ্যই। তবে তা জনসম্মুক্ষে দেখাতে রাজি নন কোচ জেমি ডে। সংবাদ মাধ্যমকে দূরে রেখেই তাই সেরে নিলেন অনুশীলনটা। আর অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সতীর্থদের মনে উপভোগের করার মন্ত্র জপে দিয়েছেন। শক্তিশালি কাতারের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে এটাই তো মূলমন্ত্র।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ফিফা র্যাংকিংয়ে কাতারের চেয়ে বেশ পিছিয়ে রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১৮৭তম, সেখানে কাতার রয়েছে ৬২তম স্থানে।
ইতিহাস থেকেও অবশ্য খুব একটা ভালো বার্তা পাচ্ছেন না বাংলাদেশ। এখনো পর্যন্ত তিনবার বর্তমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেকবারই এএফসি এশিয়ান কাপে। প্রথম দেখায় ১৯৭৯ এর এশিয়ান কাপে কাতারের বিপক্ষে ড্র করলেও এরপর ২০০৬ সালে দুইবারের দেখায় যথাক্রমে ৪-১ ও ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশ অনুপ্রেরণা পেতে পারে গত বছরের এশিয়ান গেমস থেকে। অনুর্ধ্ব-২৩ দলের সেই ম্যাচে কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব পার করে জেমি ডের শিষ্যরা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারলেও নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচের একটিতে ড্র আর একটিতে জয় পেয়েছে কাতার। যার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে গোলমুখে শট নিয়েছে ২৭টি।
বাংলাদেশের জন্য তাই কাতারের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে। তবে জেমি ডের রক্ষণ সামলে আক্রমণ তত্ত্ব যদি ঠিক মতো মাঠে কাজে লাগাতে পারে ফুটবলাররা। তাহলে ভালো কিছুই করা সম্ভব বলে বিশ্বাস সবার।