একদিকে দলে শুদ্ধি অভিযান, অপরদিকে সম্মেলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছেন, দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে থাকা দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিষয়ে যে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তা অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্ধারিত দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে দলটি। আগামী জাতীয় সম্মেলনের আগ পর্যন্ত সারা দেশে দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিএনপি-জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশ করে যারা টাকার পাহাড় গড়েছেন চলমান শুদ্ধি অভিযানে এমন নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। দলের মধ্যে শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে বাদ পড়ার আতঙ্কও তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অনেক নেতার মধ্যে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ক্ষমতার পালাবদলে যারা আওয়ামী লীগে এসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়েছেন, এই শুদ্ধি অভিযানে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সেসময় থেকে সারা দেশে যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন তাদের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে, তাতে বেশিরভাগই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল থেকে এসেছে। এ ছাড়াও যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এরইমধ্যে সেই তালিকা শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে ফিরে আসার পর এ বিষয়ে আরো কঠোর হবেন তিনি।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা তো এ পর্যন্ত যাদের দেখছি এরা সবাই অনুপ্রবেশকারী। আপনারা জানেন আমাদের দলের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে দাবি উঠছিল যে এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের ভয়ানক ক্ষতি করছে। তাদেরকে এখন আমরা চিহ্নিত করেছি। চিহ্নিত করে দেখা যাচ্ছে তাদের সবাই একসময় হয় যুবদল করত, না হলে বিএনপি করত, না হলে জামায়াত শিবিরের সদস্য। এখানে আমাদের নীতি খুব পরিষ্কার। আমরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা দলকে পরিচ্ছন্ন করতে চাই।
সূত্র জানায়, দলের গত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সারা দেশের জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ না হওয়ায় ও সারা দেশে এখন পর্যন্ত শুধু একটি মাত্র জেলা সম্মেলন করতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পর দলের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পর্যায়ের সকল সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমরা দ্রুত আমাদের জেলা সম্মেলনগুলো শেষ করতে চাই। সেই অনুসারে দ্রুতই সারা দেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ যেসব উপজেলা কমিটি রয়েছে তা সম্পন্ন করা হবে। এর পর সব জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া অতি দ্রুতই দলের সাংগঠনিক সফর শুরু হবে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক হলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া ১২টি উপ-কমিটির মধ্যে অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম ও সদস্য সচিব ডা. দীপু মনি, অর্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফরউল্লাহ ও সদস্য সচিব এইচএন আশিকুর রহমান, ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সদস্য সচিব আব্দুর রহমান, দপ্তর উপ-কমিটির আহ্বায়ক পীযুষ ভট্টাচার্য ও সদস্য সচিব ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সদস্য সচিব মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক এইচ টি ইমাম ও সদস্য সচিব হাছান মাহমুদ, শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সদস্য সচিব আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও সদস্য সচিব রোকেয়া সুলতানা, সংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ও সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল এবং খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে সাধারণ জনগণের দল ও সরকারের প্রতি আস্থা বেড়েছে। সাধারণ মানুষ এতে খুশি। এ জন্য আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগ পর্যন্ত এই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগের এই নেতারা। এই কঠোর অবস্থানের পর বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, শুধু কেন্দ্রের মধ্যেই এই অভিযান সীমাবদ্ধ থাকবে না। দলের ভাবমূর্তি উদ্ধারে সারা দেশের তৃণমূলেও এই শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে।
দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন সারা দেশে চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় অংশ নিয়ে দলীয় নেতাদের সামনে তিনি বলেন, দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আগাছা-পরগাছা দূর করা হবে। অপরাধী যেই হোক ছাড় দেয়া হবে না। অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন সারা দেশে চলবে।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে এই অভিযান চলমান থাকবে। শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে শুদ্ধি অভিযান। দুর্নীতিবাজদের একবিন্দু ছাড় দিতে রাজি নন তিনি।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এটি কেবল শুরু। সরকারপ্রধানের তালিকায় অনেক ‘রাঘববোয়াল’ও আছেন। তাদের বিরুদ্ধেও শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণেই অভিযানগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছিল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার যে কঠোর অবস্থানে আছে, এগুলো সেটির বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার নেত্রী (শেখ হাসিনা) আবারও কঠোর বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির এমন মনোভাবের কারণে আওয়ামী লীগ ও সরকারের দায়িত্বশীল অনেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবেই বলেন, ‘আমি কোনো নালিশ শুনতে চাই না। ছাত্রলীগের পর এখন যুবলীগকে ধরেছি। একে একে এসব ধরতে হবে। আমি ধরব। জানি কঠিন কাজ কিন্তু করব।’ এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কষ্ট করে দেশের উন্নয়ন করছি, এর ওপর কোনো কালিমা আসুক, সেটা আমি হতে দেব না, আমি কাউকেই ছাড়ব না’।
শেখ হাসিনার এই হুঁশিয়ারির পর দিন শুক্রবার এর প্রতিফলন পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে। তিনি শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুধু ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও নজরদারিতে আছেন। দুর্নীতিতে জড়িত কাউকে ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় মদদ দিয়ে থাকেন তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো গডফাদারই ছাড় পাবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শোভন-রাব্বানীকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সেসময় যুবলীগের দুই নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে কঠোর সমালোচনা করার পাশাপাশি চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ অস্ত্রধারী দলীয় ক্যাডারদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার কথা জানান। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ ও পরে যুবলীগের কথিত সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ সফিকুল আলম ফিরোজকে দুই মামলায় হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। র্যাবের করা দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার বিকালে ফিরোজকে ঢাকার আদালতে পাঠায় ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বায়রার সিনিয়র সহ-সভাপতি ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
শুধু ঢাকা নয় এরইমধ্যে সারা দেশে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে করা অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজির মামলায় যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও কুষ্টিয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামানকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের দুই ঘণ্টা আগে আলামিন জোয়ার্দার নামে এক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির এই মামলা করেন।
শুক্রবার রাতে রাঙ্গামাটি শহরের দুই ক্লাবে অভিযান চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। চট্টগ্রামেও শুক্রবার রাতে জুয়াবিরোধী অভিযান চালানো হয়। নগরীর আলমাস মোড়ে ‘হ্যাং আউট’ নামের একটি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অনুমতি ছাড়া পুল ও স্নুকার খেলা হতো, ওই ক্লাব মালিকের ছেলে খলিকুজ্জামান ও কর্মচারী রবিউল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের মধ্যে শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে বাদ পড়ার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অনেক নেতার মধ্যেই। আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নানা কারণে বিতর্কিত ও অভিযুক্তদের বাদ পড়ার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলে আলোচনা আছে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি সপ্তাহে দলের যে কারো বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আরো কঠোর অবস্থানে থাকার বার্তা দেয়ার পর থেকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনেকের মধ্যে বাদ পড়ার আতঙ্ক বেড়েছে। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটিই নয়, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কয়েক নেতাও পদ হারানোর ভয় ও আতঙ্কে আছেন। শুধু দলীয় পদ থেকে বাদ পড়া নয়, চাঁদাবাজি ও অনিয়মের অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি গ্রেফতার আতঙ্কেও আছেন কেউ কেউ।