সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মসজিদ ফান্ডের টাকা আতœসাৎকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটকসহ প্রায় তিন শতাধীক টেটা বল্লম উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকাল অনুমান ৩টা দিকে উপজেলার কাঠসাগড়া নয়াগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হয়েছে আহত দিপুকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদবরের হাট বাজার মসজিদ ফান্ডের অর্থ আতœসাৎ ও মাদবরের হাট গরুর হাটের ইজারার অর্থ ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম সোহরাব হোসেন ও ব্যবসায়ী মোঃ জহির গ্রæপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। গত ২৯ জুলাই সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাঠসাগড়া গ্রামের মসজিদের সামনে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাাদক ও লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম সোহরাব হোসেন ও তার গ্রæপের লোকজনদের সাথে মসজিদ ফান্ডের টাকা আতœসাৎকে কেন্দ্র করে মোঃ জহির গ্রæপের লোকজনের সাথে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে মোঃ জহির গ্রæপের লোকজন সোহরাব হোসেনসহ তার লোকজনদের উপর হামলা চালায় মোঃ জহির গ্রæপের লোকজন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম সোহরাব সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন মঙ্গলবার উক্ত ঘটনার জের জেরে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রনে পরিস্থিতি আনে।
লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম সোহরাব হোসেন জানান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলনের দিন মুক্তির সাথে কয়েকজনের ঝগড়া হয়। তাছারা জহির অবৈধভাবে ইটের ভাটা করেছে। এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স ও নেয় না। আনোয়ারের ছেলে শাহিন কয়েকদিন আগে কিছু টাকা এক বাড়ি থেকে ডাকাতি করে নিয়ে যায়। বিচার করে যার টাকা তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জহির এই ছিনতাই ও কিলার গ্রæপটির নেতৃত্ব দেয়। এসব কারনে সোমবার রাত ৯টার দিকে আমি পরিষদ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে জহির গ্রæপ নিয়ে আমাকে হেয় করে। এলাকার মুরব্বীরা আমাকে একটি বাড়িতে বসতে দিলে সেখানে তারা হামলা চালায়। লতব্দির লোকজন খবর পেয়ে আসলে ওরা চলে যায়। মঙ্গলবার ওরা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর উপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলে। আমি থানা পুলিশকে অবহিত করি। আমাদের এলাকার সাধারণ লোকজনের প্রতি হামলা চালাতে আসে জহির বাহিনী। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
সিরাজদিখান অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে ২ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করায় সংঘর্ষ হয়নি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। #