বদরুল আলম পাশার ৩৫ বছর'র বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন
বি. এম. আশিক হাসান, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: তৃণমূল আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য বিপ্লবী সৈনিক, দক্ষ নেতৃত্বে পরিপক্ক একজন তৃণমূল রাজনীতিবিদ, সর্বদা সোজা সাপ্টা স্পষ্টবাদী মানুষ, ইতিমধ্যেই অনেক সুনাম কুরিয়েছেন তিনি, করেছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ আগামী দিনে আওয়ামী লীগের উদীয়মান নেতা। প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আলোচনা করছিলাম গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ৫২ নং ওয়ার্ডের মুদাফা গ্রামের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব বদরুল আলম পাশার কথা, দীর্ঘ ৩৫ বছরের এক অনবদ্য রাজনৈতিক জীবনে হাটি হাটি পা পা করে আওয়ামীলীগের আন্দোলন সংগ্রামে গড়ে তুলেছেন জীবন যাত্রা। আওয়ামীলীগের দুর্দিনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। বিএনপি-জামায়ত জোটের নির্যাতন-নিপীড়নে জেল জরিমানা শিকার হন তবুও থেমেছিল না তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।
চলুন এক নজরে দেখে আসি বদরুল আলম পাশার ৩৫ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, তার রাজনীতির হাতে খড়ি আশির দশকে শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আওয়ামী রাজনীতির দিকে ধাপিত তিনি হন। ১৯৮৯ সালে থেকে ২০০৩ সাল অবধি গাজীপুর জেলার টঙ্গী পৌর শাখা ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে এখন অবধি গাজীপুর মহানগর ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে বহাল এবং ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত গাজীপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের গাজীপুর মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন হলে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সদস্য হিসেবে পদে আসীন হন। সম্প্রতি টঙ্গীর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।
বদরুল আলম পাশা আসন্ন ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী, এপদে সকল প্রার্থীর চেয়ে দক্ষতা এবং নেতৃত্বে এগিয়ে আছেন তিনি।
আলহাজ্ব মোঃ বদরুল আলম পাশা তাঁর দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন ১৯৮৮ এর বন্যায় যখন শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টারকে বন্যার্ধদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে দেখে এবং নেতার আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড তাকে মুগ্ধ করে তখন থেকে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং ছাত্রলীগে যোগদান করেন। তৎকালীন সময় স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন বলে জানান। আলম পাশা বলেন বঙ্গবন্ধুকে স্বচক্ষে না দেখলেও তার আদর্শ লালন পালন করে আজও রাজনীতিতে বিচরণ করছেন, তিনি আরও বলেন আগামী দিনে অতীতের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে রাজপথে ব্যানগার্ড হিসেবে থাবেন এবং ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে তার সুযোগ্য উত্তরসূরী গাজীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে তিনি বিগত দিনে তার পাশে থাকার জন্য ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং আগামী দিনেও অতীতের ন্যায় তার পাশে থেকে তাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।