শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তসলিমা রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পদ্মাসেতু নিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া উদ্ভট বক্তব্যের পর ছড়িয়ে পড়া ছেলেধরা গুজবের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরে জানা যায়, রেনু তার চার বছর বয়সী সন্তানকে ভর্তি করতে স্কুলে গিয়েছিলেন। আর এই হত্যার একটি ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেধরা বলে বাইরে থেকে হট্টগোল শুরু হলে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই স্কুলের কিছু অভিভাবক ও বাইরে থেকে আসা উচ্ছৃঙ্খল মানুষে ভরে যায় জায়গাটি। এর পর হাতে গোনা কয়েকজন যুবক মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে পেটায় রেনুকে। কেউ কেউ এলোপাতাড়ি লাথিও মারছিল। শত শত মানুষ দর্শকের ভূমিকায় তা দেখছিল, কেউ আবার সেই মারধর মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল। এ ঘটনায় নিহত রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু মামলা করার পর রবিবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলার আসামি চার থেকে পাঁচশ। পলাতক ছিলেন প্রধান আসামী। আজ বিকেলে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে মোঃ মাহবুব আলম নামক এক ব্যক্তি হৃদয়কে দেখতে পেয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।