বজ্রপাত প্রতিরোধে বিভিডিএস বাংলাদেশের সহস্রাধিক তালের বীজ বপণ 

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২৩
Sangbad52

বজ্রপাত প্রতিরোধে বিভিডিএস বাংলাদেশের সহস্রাধিক তালের বীজ বপণ 

 

বজ্রপাত প্রতিরোধে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তায় লাগানো হচ্ছে ছয় সহস্রাধিক তালের বীজ।

 

বজ্রপাত প্রতিরোধে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার দুইপাশে তালের বীজ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বড়বাইশদিয়া ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এর আগেও গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

 

বড়বাইশদিয়া ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সংগঠনের সদস্য আয়মান আরিফ বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগেও গ্রাম উন্নয়নের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের ইউনিয়ন উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় ঝড় বন্যার ঝুঁকিটা একটু বেশি থাকায়, এবার আমরা প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তায় তালের বীজ বপণ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।  

 

সংগঠনের অন্য এক সদস্য রাকিব গাজী বলেন, উপকূলীয় এলাকা হিসেবে আমাদের এলাকায় ঝড়-বন্যা ও বজ্রপাত একটু বেশি হয়। তাই আমরা আমাদের ইউনিয়নে তালের বীজ বপনের কার্যক্রম শুরু করেছি। এতে যেমন বজ্রপাত প্রতিরোধ হবে তেমনি রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।  

 

বড়বাইশদিয়া ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সংগঠনের সভাপতি শামসুল আরেফিন বলেন, আমাদের সংগঠন গ্রাম উন্নয়নমূলক কাজ করে। আমাদের উপজেলা তথা ইউনিয়নের ভৌগোলিক অবস্থান বঙ্গোপসাগরে নিকট হওয়ায় আমাদের এই অঞ্চলে ঝড়-বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং বজ্রপাতের প্রভাব বেশি। প্রতি বছর এই বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষ মারাও যায়। তাই আমরা পরিবেশের ভার্সম্য রক্ষার্থে বাবুই পাখির বাসস্থান এবং বজ্রপাতের ঝুঁকি মোকাবেলায় আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় (প্রায় ৮ কিলোমিটার) তালের বীজ বপণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। 

 

রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব আসাদুজ্জামান বলেন, বড়বাইশদিয়া ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সংগঠনটি খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা দের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। 

 

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাত প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে তালের বীজ লাগানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বড়বাইশদিয়া ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সংগঠনটি। তালের বীজ ও তালগাছ লাগানোর মধ্যদিয়ে বজ্রপাত প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে কৃষকদের অনাকাক্ষিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। বাড়ি-ঘরের ক্ষতির হারও হ্রাস করা সম্ভব হবে।