মাদারীপুরের পুলিশের বিরুদ্ধে মামলায় বাদীর এজাহারে ঘটনার তারিখ ও বারে মিল নেই।

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২৩
Sangbad52

মাদারীপুরের পুলিশের বিরুদ্ধে মামলায় বাদীর এজাহারে ঘটনার তারিখ ও বারে মিল নেই।

 

মীর ইমরান-মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ 

 

মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার বহেরাতলার দক্ষিণ ইউনিয়নের,সরকারেরচর গ্রামের মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও প্রতিবেশী আকমান মাদবরদের সাথে দীর্ঘ দিন জাবৎ বিভিন্ন বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।  

 

আদালত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিবচর থানার মামলা -১৮ / (৭জুলাই)। ২৩, জি আর মামলা নং - ২৭৪/২৩ এই মামলায় গত ( ৭জুলাই) রাত ১১-১৫ মিনিটের সময়,শিবচর থানার ঐ সময়ের ডিউটি অফিসার এস আই মিলন কুমার হালদার বাহির জি ডি করে এই মামলা ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য, শিবচর থানার এস আই নূর মোহাম্মদ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামিদের বাড়ি যায়। আসামি আকমল মাদবর, রাজা মিয়া মাদবর- পিতাঃ আলাউদ্দিন মাদবর, শহিদুল মাদবর- পিতাঃ আক্কাছ মাদবর,,শাহ আলম মাদবর, পিতাঃ হাতেম মাদবর কে গ্রেফতার করে গত (৯ জুলাই) রাত ২-১০ মিনিটের সময় শিবচর থানায় এ চার জন আসামিদের নিয়ে হাজির হয়ে ডিউটি অফিসারের মাধ্যমে জি ডি করে আসামিদের শিবচর থানার গারদ খানায় রাখে। এই আসামিদের (৯জুলাই) বেলা ১১-১০ মিনিটের সময় শিবচর থানা থেকে মাদারীপুর কোটের পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মাদারীপুর কোটের গারদ খানায় এ আসামিদের গ্রহণ করে কোট পুলিশের এ.এস.আই গোবিন্দ বিশ্বাস । মাদারীপুর কোটের গারদ খানায় রেজিঃ খাতায় ২০ নং ক্রমিকের আসামি আকমান মাদকরকে গ্রহন করে। ২০ নং ক্রমিকের আসামির কোন এমছি ,বা অসুস্থতা উল্লেখ নেই। 

এ আসামি আকমান মাদবর (৯জুলাই) মাদারীপুর বিজ্ঞ আদালতে বিজ্ঞ কৌশলীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন, এই জামিনের আবেদনে আসামি আকমান মাদবরের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ করেন নি। মাদারীপুরের বিজ্ঞ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজিদ উল হাসান চৌধুরীর আদালতে ,৫হাজার টাকা বন্ডে জামিনে মুক্তি পান আকমান মাদবর সহ আর তিন জন।

কোট হাজতের রেজিঃ খাতার ২০ নং ক্রমিকের আসামি আকমান মাদবর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,মাদারীপুর ।

জি, আর -৪৮৫/২৩ (১৬ জুলাই)২০২৩,মামলা দায়ের করে নুর মোহাম্মদ সাব ইন্সপেক্টর, শিবচর থানার বিরুদ্ধে। মামলায় উল্লেখ করা হয় নূর মোহাম্মদ, আকমান মাদবরকে গ্রেফতার করে,শিবচর থনায় নিয়ে, শিবচর থানার ভবনের ২য় তলায় কোন এক কক্ষে (৯ জুলাই) শনিবার রাত ১১-৩০ মিনিটের সময়, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার বাদী আকমান মাদবরকে শারীরিক নির্যাতন ও বকাবাজি করে ।

মামলায় উল্লেখ করা হয় ঘটনার তারিখ (৯ জুলাই) এবং বারটি উল্লেখ করা হয় শনিবার। কিন্তু কোন ক্যালেন্ডারে (৯জুলাই) শনিবার নয়। ঘটনার স্থান মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে শিবচর থানা ভবন। কিন্তু (৯ জুলাই) রবিবার ,রাত -১১-৩০ মিনিটের সময় ছিলেন জামিনে আকমান মাদবর।

শিবচর থানা থেকে আসামি আকমান মাদবরের বাড়ি দূরত্ব অনুমানিক ৭-৮ কি: মি: । শিবচর থানা ও আকমান মাদবরের বাড়ি যেতে সাধারণ পরিবহনে সময় লাগে ৪০-৫০ মিনিটের মত। আকমান মাদবর ও তার পরিবারের সূত্রে জানা যায় গত (৯জুলাই)রাত ১থেকে ১-৩০ মিনিটের সময় ,এস আই নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে থানার পুলিশ এসে চার জন আসামিকে আটক করে নিয়ে যায় । এই আসামিদের যখন শিবচর থানায় নেওয়া হয়। তখনকার থানা গারদে দায়িত্ব থাকা কনেষ্টেবল মোঃ কবির হোসেন বলেন গ্রেফতারকৃত চার জন আসামিকে এস আই নূর মোহাম্মদ স্যার গ্রেফতার করে । নিয়মিত মামলায় আটক দেখিয়ে থানার গারদে রাখা হয়। কোন আসামিকে দ্বিতীয় তালায় নেওয়া হয়নি। 

এ মামলার বিষয়ে আকমান মাদবরের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন অন্য এক মামলায় ,মাদারীপুর কোটে হাজিরা দিতে গেলে চার দিন পূর্বের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে জুরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবার একটি সার্টিফিকেট আদায় করি। মাদারীপুর আদালতে,একটি মামলা দায়ের করি শিবচর থানার এসআই নূর মোহাম্মদের (পুলিশ)বিরুদ্ধে ।

ঘটনার চার দিন পরে কেন চিকিৎসা নিতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে গেলেন,এত কাছের নিজ উপজেলায়, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকতে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তার কোন উত্তর দিতে পারেননি আকমান মাদবর।

এ বিষয়ে শিবচর থানার এসআই নূর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোটের নির্দেশ অনুযায়ী একটি মামলা ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আকমান মাদবরসহ চারজনকে আটক করা হয়।

এর পর শিবচর থানায় (৯ জুলাই) রাত ২-১০ মিনিটের সময় শিবচর থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের মাধ্যমে হস্তান্তর করি গারদ খানায় রাখি । 

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান ,আমি প্রতিদিন সকালে গারদ খানার আটককৃত সকল আসামিদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের সমস্যার কথা জানি।

গত (৯ জুলাই) শিবচর থানার গারদ খানার সকল আসামিদের সাথে দেখা করি আটককৃত কোন আসামি তাদের শারীরিক অসুস্থতার বা কোন সমস্যার কথা বলেনি। তিনি মহামান্য বিজ্ঞ আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলা যাবে না ।

এলাকাবাসী ও আকমান মাদবর জানায় বিভিন্ন মামলায় অনেক বার পুলিশ আকমান মাদবরদের আটক করে তাই পুলিশকে ভয় দেখানোর জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।।

আকমল মাদবরকে তার শারীরিক অসুস্থতার ও পুলিশ পিটিয়ে তার হাত কনুই ভাঙ্গার অভিযোগ করেন,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার হাতের কনুই জম্মগতই এমন ।

 

আদালত জি আর -৪৮৫ /২৩ নং মামলায়, পুলিশ সুপার পিবিআইকে স্বয়ং তদন্ত করতে আর্দেশ দেন।