মাদারীপুর শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ থেকে র্যাব - ৮ এর হাতে আটক
মীর ইমরান মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের ছব্দ নাম (জুই) প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ফারুক বেপারীর বাড়ীর সামনে পুকুরপাড়ে পৌঁছালে অভিযুক্ত মোঃ শওকত তস্তার,ভিকটিমকে মুখ চেপে জোরপূর্বক রাস্তার পাশের জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে। মাদারীপুর সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মাদারীপুর সদর মডেল থানার মামলা নং-০৮/৩৪২ (৭ জুলাই)২০২৩।
মাদারীপুর ,র্যাব-৮, সিপিসি-৩ ও র্যাব-১১, সিপিএসসি কর্তৃক চাঞ্চল্যকর মাদারীপুর সদর মডেল থানায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলার এক নম্বর আসামি ধর্ষণকারী মোঃ শওকত তস্তার,নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে।
র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প ও র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানীর একটি যৌথ আভিযানিক দল গত (১০জুলাই )রাত ০৯:৪৫ মিনিটের সময় নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মৌচাক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার আসামিকে আটক করে।
শিশু ধর্ষণকারি মাদারীপুর সদর উপজেলার,ছিলারচর ইউনিয়নের, ছিলারচর গ্রামের মোঃ জলিল তস্তারের ছেলে মোঃ মোঃ শওকত তস্তার (২৯)
মামলা ও ঘটনার সূত্রে জানা যায় যে, গত ,(৭ জুলাই )ভিকটিম ছব্দ নাম ( জুই) পাশ্ববর্তী মজিবর বেপারীর বাড়ী থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়ীর দিকে যাওয়ার পথে শিশুটিকে মুখ চেপে নির্জনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসলে ধর্ষণকারী মোঃ শওকত তস্তার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প ও র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানীর নজরে এলে র্যাব-একটি যৌথ অভিযান চালিয়ে উক্ত মামলার আসামী মোঃ শওকত তস্তারকে আটক করতে সক্ষম হয়।
শিশু ধর্ষণ ঘটনা মামলার আসামি গ্রেফতার বিষয়ে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর এর লেঃ কমান্ডার মোঃ মুহতাসিম রসুল বলেন
এ শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারিপুর ও র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানী বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ফলশ্রুতিতে উক্ত ঘটনার আসামীকে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মৌচাক এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র্যাব-৮ এর এধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধৃত আসামীদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।