বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের মহাউৎসব

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ২০ মে, ২০২৩

বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের মহাউৎসব

 

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ বরিশাল।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরমদ্দি ইউনিয়নের বাদল পাড়া গ্রামে বগা খেয়াঘাট রাঙ্গামাটি নদী থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নুর নেতৃত্বে ইজারা ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন করছেন মনির সরদার, সেলিম সহ প্রভাবশালী মহল। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং হুমকির মুখে পড়েছে রাঙ্গামাটি নদীর পার্শ্ববর্তী চরের বাসিন্দারা।  

 

স্থানীয় বাসিন্দা আরশফ আলী সর্দার অভিযোগ করে জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নুর নেতৃত্বে মনির, সেলিম সহ অন্তত ১০/১২ সদস্যের ভয়ংকর সিন্ডিকেট তৈরি করে তারা নিজেরা ইজারা ছাড়াই তাদের ইচ্ছে মতো বালু উত্তলন করে আসছে। দীর্ঘদিন যাবত রাঙ্গামাটি নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু ও তার লোকজন। আমরা বাধা দিলে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমাদের বাদলপাড়া গ্রাম অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এতে আমাদের ভিটে মাটি সহ মাথা গোজার ঠাই টুকু হারাতে বসেছি। এমন পরিস্থিতিতে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রেনু বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু ও তার লোকজন নিয়ম উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। তারাও উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন কিছু বললে আমাদেরকে হুমকি দেয়। তারা বালু উত্তোলন করে বাদল পাড়া গ্রামে বিভিন্ন ডোবা, পুকুর ভরাট করছেন ৮/১০ টাকা ফুট হিসেবে। এখন অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে আমাদের ফসলি জমিসহ আমাদের বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে বাপ দাদার কবর পর্যন্ত। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু জানান, দক্ষিণ বাদল পাড়া গ্রামে একটি মাটির রাস্তায় বালুর প্রয়োজন তাই ড্রেজার আনা হয়েছে। বালু টাকা দিয়েই কিনে নেয়া হচ্ছে। বগা খেয়া ঘাটের ওইপার দারিয়াল ইউনিয়নের মধ্যে সেখানে খেয়া ঘাটে নতুন চর জেগেছে খেয়ার নৌকা ঘাটে-ভিরাতে সমস্যা তাই দারিয়ালের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেই ওই স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতদিনের বালু উত্তোলনের কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে এখন যদি কেউ এই নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে তাহলে ড্রেজার সরিয়ে নিতে বলবো।

 

এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইজারা ছাড়াই নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অচিরেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।