তাহিরপুরে নৌকাতে চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০২২
sangbad52

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাটলাই নদী দিয়ে কয়লা পরিবহনকারী একটি নৌকাকে আটকের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ আমলগ্রহণকারী জুডিশিয়াল আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের মল্লিক মিয়া।  

আসামীরা হলেন- উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের সাবজল হোসেন(২৮), তরং গ্রামের আবু জাহান(২৭) ও জয়পুর গ্রামের আহমেদ কবির(৩৬), বাদশা মিয়া (২৬) ও ডালিম মিয়া(২৮)। এদের মধ্যে সাবজল হোসেন, আবু জাহান ও আহমেদ কবির এলাকাতে সংবাদকর্মী হিসাবে পরিচিত।

মামলার বাদী উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের মল্লিক মিয়া আদালতে দাখিল করা লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আসামীরা বিভিন্ন জায়গায় সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। সীমান্ত এলাকাতে চাঁদাবাজ হিসাবে তারা চিহ্নিত। তারা রাত জেগে পাটলাই নদী দিয়ে কয়লা পরিবহণকারী নৌকা থেকে জোড়পূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ নভেম্বর শনিবার ভোরে পাঠাবুকা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাটলাই নদীতে তার ২০ মেট্রিক টন পরিবহনকারী একটি নৌকা আটকিয়ে তাদের নিকট এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। উক্ত টাকা দিতে তারা অপারগতা প্রকাশ করিলে তাদের নিকট থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা, মালের বৈধ চালান ও কাস্টম চালানের কপি জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবজল হোসেন সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অনীহা প্রকাশ করে মোবাইল কেটে দেন। অপর অভিযুক্ত আহমেদ কবীর বলেন, আমরা নদীতে কোন চাঁদাবাজি করি না। তবে পুলিশকে সহযোগীতা করি। 

মামলার বাদী মল্লিক মিয়া বলেন, নামাঙ্কিত বিবাদীরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তারা একটি দ্রুত ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে পাটলাই নদীতে চাঁদাবাজি করে আসছে। তারা রাতে না ঘুমিয়ে কয়লা পরিবহণকারী নৌকার সন্ধানে থাকে। যদি কোন নৌকা তাদের সাথে সমঝোতা না করে নৌকা ছেড়ে দেয় তখন তারা ঐ নৌকাকে দ্রুত ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে তাড়া করে ধরে এবং চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের মারধর করে নৌকাতে থাকা থালাবাসন, বিছানা পত্র ও রান্না করা খাবার পর্যন্ত নিয়ে যায়। 

তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, আদালতে একটি মামলা হয়েছে এ বিষয়টি শুনেছি। মামলার আবেদন এখনো থানায় আসেনি। আবেদন পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।