মোঃতারিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন হচ্ছে ১৩নং তন্তর ইউনিয়ন। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি আলুর কোলস্টোরেজ রয়েছে। এখানে প্রায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে ২০ হাজার ভোটারসহ ৬০-৭০ হাজার লোকের বসবাস। এই ইউনিয়নের কোন একটি রাস্তা পাকা নেই। দুই একটি রাস্তায় বিগত দিনে ইটের সলিং করা হলেও বর্তমানে সলিং করা ইট উঠে গিয়ে পুরো রাস্তায় খানাখন্দে ভরে গিয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সিংপাড়া হয়ে সুফিগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১কিঃ মিঃ কাচারাস্তা একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীর। ২নং ওয়ার্ডের সিংপাড়া থেকে তন্তর পর্যন্ত প্রায় ২কিঃ মিঃ রাস্তা নির্মানাধীন রয়েছে। ৩নং ওয়ার্ডে সোন্দারদিয়া থেকে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ীর সামনে দিয়ে কাননীসার ব্রীজ পর্যন্ত দেড় কিঃ মিঃ রাস্তা অর্ধেক কাঁচা বাকী অংশে ইট সলিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। ভোগান্তি মাথায় নিয়ে শত শত মানুষ এই রাস্তায় যাতায়াত করে। ৪নং ওয়ার্ডের মালিবাগ শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ পাকা ব্রীজ থেকে ব্রাক্ষ্মনখোলা গ্রামে হয়ে পানিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২কিঃ মিঃ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই দুষ্কর হয়ে পড়ে। বহুদিন পূর্বে ইট সলিং করা হলে সেই ইট তুলে নিয়ে অন্যত্র ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্ডের লোকজনদের যাতায়াতে দুভোর্গের শেষ নেই। ৫নং ওয়ার্ডের উত্তরগাঁও থেকে লৌহজংয়ের নওপাড়া হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিঃ মিঃ কাচা রাস্তার বেহাল দশার কারনে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। উত্তরগাও মৃধা বাড়ী মোড় থেকে পানিয়া দিয়ে সিরাজদিখান উপজেলার বৌ-বাজার পর্যন্ত ৩ কিঃ মিঃ জনগুরুত্বপূর্ণ একমাত্র ইট সলিং রাস্তার বেহালদশা। ইট সলিং উঠে গিয়ে পুরো রাস্তা এখন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাননীসার মোড় থেকে উত্তরগাও, উত্তরগাও থেকে পুরারবাগ কাচা রাস্তার বেহালদশা। এখানে কোন রিক্সাভ্যান চলাচল করতে পারে না। শুধু পায়ে হেটে চলতে হয়। একটু বৃষ্টি এলে আর এই রাস্তায় চলা সম্ভব হয় না। এছাড়াও ৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে কোন পাকারাস্তা নেই। গ্রামীন কাচারাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে ১৩নং তন্তর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আমার ইউনিয়নটি সবচেয়ে অবহেলিত। আমার ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলোর কোনটিও এখনও পাকা হয়নি। যদিও দুই একটি রাস্তা অর্ধেক ইট সলিং হচ্ছে। ব্রাক্ষ্মনখোলা-নওপাড়া অতিগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় আমি এর আগের প্রিয়টে চেয়াম্যান থাকাকালে ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দে ইট সলিং করেছিলাম। এরপরে প্রিয়টে জাকির চেয়ারম্যান এসে সেই রাস্তার ইট তুলে নিয়ে অন্যত্র নিয়ে ব্যবহার করে। ইউনিয়নের প্রায় সব রাস্তার উন্নয়ন খুব প্রয়োজন।