সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ধামালিয়া এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবৎ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রয়েছে। এতে করে স্কুল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বাঁশের সাকোর পরিবর্তে কালভার্ট নির্মাণ,যাতায়াতে চরম ভোগান্তি, খেলার মাঠ নেই। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রশুনিয়া ইউনিয়নে ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । বিদ্যালয়টির প্রবেশ পথে বাঁশের সাকো থাকায় প্রতিনিয়তই দূর্ঘটার কবলে পরতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলেও সমাধানে কোন ভূমিকা পালন করেননি বলে অভিযোগ তোলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রা। অপর দিকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালটিতে সহকারী শিক্ষকের তিনটি পদ শূণ্য থাকায় সঠিক পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে । বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে খাল ও দক্ষিন পশ্চিম দিকে পুকুর এবং সামনের অংশে ডোবা থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করার কোন মাঠও নেই। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫১ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাস বলেন, আমাদের স্কুলটি সুবিধাবঞ্চিত স্থানে হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছি। বিশেষ করে স্কুলের সামনে ডোবা থাকায় ছাত্রছাত্রীরা খেলাধূলা করতে পারছে না। বর্ষা মৌসূমে স্কুল সমান পানি উঠে। একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদা হয়ে মাটি পিচ্ছিল হয়ে যায়। আর এ কারনে ছাত্রছাত্ররীরা স্কুলে উঠতে গেলে পিছল খেয়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। স্কুলের সামনের ডোবাটি ভরাট করা প্রয়োজন এবং বাঁশেল সাকোর বদলে যেন একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দেওয়া হয়। রশুনিয়া ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলী আকবর বলেন, কয়েক বছর আগে ৮ বছরের একটি বাচ্চা খালের উপর সাকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে নিচে পরে মারা যায়। বাচ্চাদের খেলাধূলার কোন মাঠ নাই এবং স্কুলে উঠারও কোন রাস্তা নেই। স্কুলে উঠতে গেলে খুবি কষ্ট হয়। স্কুলের সামনের খালটি দিয়ে চকের পানি নামে। এই খালটির উপরে ছোট্ট একটা কালভার্ট নির্মাণ করে দেওয়া হলে যাতায়াত সহ চকের পানি নামতে সুবিধা হবে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে কয়েকবার জানিয়েছি। রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান ইকবাল হোসেন চোকদার বলেন, ব্রিজের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রোপজাল দেয়া আছে এবং এবার হওয়ার সম্ভবনা আছে। আর স্কুলের সামনে ভরাটের জন্য কেউ যদি মাটি দেয় তাহলে ভরাট করে দিতে পারব। তবে সামনে সরকারি খাল আর খাল ভড়াট করার এখতিয়ার আমার নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ধামালিয়া ১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক জন নতুন শিক্ষক দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন,সরকারের একটা প্রকল্প আছে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মেইন রাস্তার সাথে সংযোগ সড়ক করা হবে এবং এটি আমরা উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে জানিয়েছি। সব গুলো এলজিইডিতে পাঠাইছে সব গুলোই পর্যায়ক্রমে হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরমিন সুলতানা বলেন, ব্রিজের তালিকাগুলো এমপি মহোদয় দেখে। তিনি দিয়েছেন কিনা আমি জানিনা। আমি দেখে জানাব।