সিরাজদিখানে টেঁটা উদ্ধার আসামিদের দাবি ৫০ পিস, পুলিশের দাবি ২১০

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এক হত্যা মামলার তিন আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫০টি টেঁটা-বল্লম উদ্ধার হলেও তা ওসি তদন্তের ফেসবুক স্ট্যাটাসে হয়ে গেছে ২১০টি। এ নিয়ে আসামিদের পরিবারের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ওসি তার স্ট্যাটাসে বলেননি কোন আসামির বাড়ি থেকে কত পিস উদ্ধার করা হয়েছে।

আসামিদের পরিবারের দাবি তাদেরকে ফাঁসাতে ও নিজের কৃতিত্ব দেখাতে ওসি এ বিপুল পরিমাণ টেঁটা উদ্ধারের নাটক সাঁজিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের পুর্ব চান্দেরচর গ্রামে গত ৮ নভেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমির আলী ওরফে মীর আলীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মীর আলীর স্ত্রী। মামলা রুজুর হওয়ার পর থেকে এজাহার নামীয় আসামিরা পলাতক রয়েছে।

গত রোববার দিবাগত রাতে পলাতক আসামিদের বাড়িতে সিরাজদিখান থানার ওসি তদন্ত মো. আজিজুল হকের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ বিভিন্ন ভাবে অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করতে না পেরে আসামিদের বাড়ি হতে প্রায় ৫০ পিসের মত টেঁটা-বল্লম উদ্ধার করে বলে আসামিদের প্রতিবেশী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

কিন্ত রোববার (১৭ নভেম্বর) ওসি তদন্তের ব্যক্তিগত ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ২১০ পিস টেঁটা-বল্লম উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে আসামি সুমনের প্রতিবেশী বিলকিস বেগম ও লিপি আক্তার জানান, সুমনের বাড়ি হতে বড়জোর ৪০-৪৫পিস টেঁটা নিয়ে গেছে পুলিশ।

আসামি ইয়াছিনের বাবা মোতালেব মেম্বার জানান, তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালালেও কোন টেঁটা বল্লাম পায়নি। তিনি ওসি তদন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষের সাথে মিলে তিনি নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে চলেছে।

আরেক আসামি আনোয়ার হোসেনের বাবা আব্দুল মালেক জানান, তার বাড়ি থেকে ৫-৭টি টেঁটা নিয়ে গেছে পুলিশ। তিনি দাবি করেন, চকের (বিল) মধ্যে তার বাড়ি হওয়ায় ডাকাতের হাত হতে রক্ষা পেতে এগুলো সে রক্ষা কবজ হিসেবে বাড়িতে রেখেছিল।

এব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি তদন্ত ও মামলার তদন্তকারি অফিসার মো. আজিজুল হক হাওলাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামি সুমনের বাড়ি হতে ১৭৫ পিস, আনোয়ারের বাড়ী হতে ২৫ পিস এবং ইয়াসিনের বাড়ি হতে ১০পিসসহ সর্বমোট ২১০ পিস টেঁটা বল্লম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার রুজু হয়েছে।