নিজের দেশকে জেতানোর আনন্দ অন্যরকম সংবাদ সম্মেলনে আফিফ

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ছবি : সংগৃহীত

ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের আশা যখন টাইগারদের জন্য রীতিমত দুরাশা হয়ে উঠেছিল, তখনই তারুণ্যের মশাল জ্বেলে ২৬ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কার মারে ৫২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ম্যাচের নায়ক হয়ে জয় ছিনিয়ে আনলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

নিজের দেশের হয়ে এমন দারুণ কিছু করতে পেরে নিজেও বেশ আনন্দিত আফিফ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই অনুভূতিট  বলে প্রকাশ করা যায় না। অন্যরকম একটা অনুভূতি। এতদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি, এরকম একটা ভালো ইনিংস খেলেছি, দর্শক খুশি হয়েছে। এটা আনন্দদায়ক ছিল। এ রকম একটা ইনিংস খেলে নিজের দেশকে জেতানোর আনন্দ অন্যরকম। যেটা আজকে পূরণ হলো।

পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখা আফিফ ব্যাট হাতে মিরপুরের দর্শকদের উদযাপনের উপলক্ষ এনে দিলেও নিজে কেন তা করেননি? পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তার মধ্যে দেখা যায়নি বাড়তি কোনো আবেগ। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সত্যি বলতে খেয়াল করিনি (ফিফটি করার পর)। তখন আমার চিন্তা ছিল ম্যাচ শেষ করবো, চিন্তায় ছিল যে ম্যাচ শেষ করলে উদযাপন করবো। কিন্তু তার আগেই আউট হয়ে গিয়েছি।

নিজের মতো করে খেলতে পারাতেই ভালো খেলেছেন দাবি করে ম্যাচ সেরা এই ক্রিকেটার বলেন, আমাকে কোচ আগে চিনতেন না। আমার সম্পর্কে তার জানাও ছিল না। এরপরও মাঠে নামার সময় তিনি (হেড কোচ) আর অধিনায়ক সাকিব ভাই বলেছেন, আমার স্বাভাবিক ঢং ও ছন্দে খেলতে। আমিও উইকেটে গিয়ে নিজের মতো করেই খেলেছি। তবে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারিনি। যদি শেষ করে আসতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি ভালো লাগতো।

চাপের মুখে কীভাবে এমন ব্যাটিং করতে পারলেন- জানতে চাইলে তার সোজাসাপ্টা উত্তর- আমি শুধু ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি। অনেকদিন পর একটা সুযোগ পেয়েছি। আমি শুধু টাইমিং ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। মোসাদ্দেকের সঙ্গে জুটিটা আমি বেশ উপভোগ করেছি। আমি গত এক বছরের বেশি সময় এইচপি ও অন্যান্য দলে যতো সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি এবং নিজেকে তৈরি করার চেষ্টাও ছিল। সেই চেষ্টাটাই কাজে লেগেছে।

ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে আফিফকে দলে নেয়ার চিন্তা থেকেই তাকে সিপিএলে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি বিসিবি। এ প্রসঙ্গে ১৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের মোটেও মন খারাপ হয়নি দাবি করে তিনি আরও বলেন, আমি এইচপি আর ইমার্জিং দলের হয়ে খেলতে পেরেছি। মনোযোগ ও মনোসংযোগ দিতে পেরেছি। আসলে আমার মাথায় সেটা কাজ করেনি।