সরকারি সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও রোগীরা যেতে বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিকে

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সরকারি সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও রোগীরা যেতে বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিকে

সরকারি সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও রোগীরা যেতে বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিকে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে নানামুখী সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সেখানে মাসে হাতে গোনা কয়েকটি অপারেশন সম্পন্ন হয়।


অথচ একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী চিকিৎসককে নিয়মিত দেখা যায় উপজেলার বেসরকারি টঙ্গিবাড়ী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশন করতে, যার সংখ্যা মাসে পঞ্চাশেরও বেশি।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করে ওই চিকিৎসকরা বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠান। ফলে রোগীরা সেখানে ভর্তি হয়ে অপারেশন করতে বাধ্য হন। এ প্রক্রিয়ায় সরকারি হাসপাতালের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে রোগীদের বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

এদিকে উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ বেসরকারি ক্লিনিকে ব্যবহৃত হচ্ছে মানহীন ও পুরোনো মেশিনপত্র। সরকারি হাসপাতালের একটি আধুনিক মেশিনের দামের চেয়েও গোটা ক্লিনিকের যন্ত্রপাতির মূল্য অনেক কম। ফলে রোগীদের চিকিৎসার মান ও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব ক্লিনিকে প্রায়ই অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও তা ধামাচাপা পড়ে যায়।

পরিবারের সদস্য হারানো অনেকেই সামাজিক চাপ ও ময়নাতদন্তের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। মৃতদেহ কাটাছেঁড়ার শঙ্কায় বেশিরভাগ পরিবার নীরব থেকে যান। ফলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসে না।

সচেতন মহলের মতে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত না করা গেলে রোগীদের আস্থা কখনোই ফিরবে না। পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকি এবং কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডাঃ আব্দুল মালেক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৩মাসে ৫টি সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে।