মুন্সীগঞ্জে সদর উপজেলা চর মুক্তারপুর দুই গ্রুপের দ্বন্ধের জেরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ভাঙচুর একজন গুরুতর আহত। ।
মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মানিক
মুন্সীগঞ্জের পঞ্চসার ইউনিয়নের চরমুক্তারপুর এলাকায় দুই গ্রুপের দ্বন্ধের জেরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক পক্ষের হামলায় দোকান বাড়িঘর ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২জন আহত হয়েছে। আহত জাহিদ (২৫) কে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত রোহান (২০) স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহতরা রহিম মেম্বারের লোকজন।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখানে এ ঘটনা ঘটে। এখানে আবুল ও সাবেক মেম্বার খোকনের নেতৃত্বে একদল ও বর্তমান মেম্বার আব্দুল রহিমের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঘটনার এক পর্যায়ে রহিম মেম্বারের লোকজনরা পিছু হটে গেলে সেই সুযোগে দল ভারি করে আবুল ও খোকন মেম্বারের লোকজনেরা এখানে দোকান ও বাড়ি ঘরে হামলা চালায় বলে হামলার শিকার লোকজনের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হামলার সময়ে এখানে শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এখানে তান্ডব চালায়। সেই সময়টাতে অনেকেই দোকানঘর বন্ধ করে এখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। তবে পূর্বের ঘটনার সাথে জড়িত কিংবা নিকট আত্নীয় শুধুমাত্র তাদের দোকান ও বাড়িঘরে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখানকার এ ঘটনার পরপরই মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
চরমুক্তারপুর বাজার এলাকার প্রবেশ মুখে সাজ্জাদের একটি হোটেলে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এখানকার মেম্বার রহিম সাজ্জাদের নিকট আত্নীয়। এখানকার উত্তর দিকের রহিম মেম্বারের বাড়িতে প্রবেশ মুখে মুজিবর সুলতান সপে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটে বলে দোকানের মালিক দাবি করেন। তার দোকানে আনুমানিক ১০লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর পাশে রয়েছে শাহাদাতের দোকান। সেখানে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। এখানকার রহিম মেম্বার, শরিফ, দুলাল, সিরাজসহ একাধিক বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এখানকার দক্ষিণ দিকে মাসুদের দোকান ও এর আশপাশের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখানকার হোটেল ব্যবসায়ি সাজ্জাদ বলেন, গত পরশু শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় রাতে রহিম মেম্বারের ছেলে রবিনের সাথে স্থানীয় মাঈনউদ্দিনের সাথে এখানকার কাজ নিয়ে বাকবিতান্ডা হয়। সেই ঘটনার জের হিসেবে এখানে এ দিন এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি দাবি করেন। তবে এখানকার ঘটনার পরে রহিম মেম্বারকে পাওয়া যায়নি। রহিম মেম্বার হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি অপারেশন মোজাম্মেল হক বলেন, সেখানে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা সত্য। কেউ এখনো মামলা করেনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
০১৯১৩৩২৫০৫৫
