গলাচিপায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মুদির দোকানে আগুন, মামলা করায় বাদীকে প্রান নাশের হুমকি

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২৪
Sangbad52

 

 

গলাচিপায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মুদির দোকানে আগুন, মামলা করায় বাদীকে প্রান নাশের হুমকি

 

মোঃ নাসির উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী সংবাদদাতাঃ 

পটুয়াখালীর গলাচিপায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সুমন প্যাদা মুদির দোকানে পেট্রোল ছিটাইয়া আগুন লাগিয়ে দিয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১৯ জুন) রাত্র আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। সুমন প্যাদা (৩৫) হচ্ছেন পূর্ব গোলখালী গ্রামের কাদের মীর ও মোসা. রাশিদা বেগমের ছেলে। এ বিষয়ে সুমন প্যাদার মা মোসা. রাশিদা বেগম (৫২) বাদী হয়ে গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং- ৪৩৪/২০২৪ (গলাচিপা)। মামলা সূত্রে ও রাশিদা বেগম জানান, উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব গোলখালী গ্রামে মুুচির স্লুইজে সুমন প্যাদার একটি মুদি দোকান আছে। জমি-জমা ও পারিবারিক কারণে দীর্ঘ দিন ধরে একই গ্রামের ১। শাহারুল ফকির (৩৫) পিতাঃ মৃতঃ আমির আলি ফকির, ২। মোঃ সিয়াম (৩২) পিতাঃ মিজান, ৩। মিজান (৫২) পিতাঃ মৃতঃ শামসুল হক চৌকিদার, ৪। আলমগীর হোসেন (৪২) পিতাঃ মৃতঃ চান মিয়া হাওলাদার, ৫। খোকন হাওলাদার (৩০) পিতাঃ আঃ রশিদ হাওলাদার, ৬। নুর মোহাম্মদ হাওলাদার (৩৮) পিতাঃ কালু হাওলাদার, ৭। আনোয়ার ফকির (৫০) পিতাঃ মৃতঃ চান মিয়া ফকির, ৮। মোশারেফ ফকির (২৬) পিতাঃ আনোয়ার ফকির এর সাথে জমাজমি নিয়ে শত্রুতা চলে আসছে। তারা প্রায় সময় আমার ছেলের মুদি দোকানে আগুন লাগিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে মারবে ও মালামালের ক্ষতি সাধন করবে প্রকাশ্যে এমনি হুমকি অব্যাহত রাখতো। আর এরই জের ধরে গত বুধবার (১৯ জুন) রাত্র আনুমানিক ২টার দিকে প্রতিপক্ষরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩জন আমার ছেলের দোকানে ডিজেল পেট্রোল ঢেলে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়। এতে আমার ছেলের দোকানে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতি সাধন হয়। আমি প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। আমি মামলা করায় প্রতিপক্ষরা এখন আমাকে ও আমার ছেলে সহ পরিবারের লোকজনদের খুন জখম সহ এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে দোকান মালিক সুমন প্যাদা বলেন, তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। কিন্তু তারা আমার দোকান পুড়িয়ে দিয়ে আমাদেরকে সর্বশান্ত করে দিল। এই ক্ষতি আমি কীভাবে পুষিয়ে আনবো ভেবে পাই না। আমি এখন অনেক ঋণী হয়ে গেলাম। এ বিষয়ে শাহারুল ফকির, মিজান, আলমগীর হোসেন, খোকন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, দু’পক্ষের মধ্যে জমি জমার ঝামেল অনেক পুরনো। তাদেরকে মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও তারা মানে নাই। আদালতে মামলা হয়েছে। এখন বিষয়টি আদালত দেখবে।