নারায়ণগঞ্জের ডিসি এসপির হস্তক্ষেপ কামনা
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে জোরপূর্বক নাজমাকে বিয়ে
করে হত্যার হুমকী ভেজাইল্যা সুলতানের
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার চিহ্নিত প্রতারক ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদের নিজ অফিসে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে জোর পূর্বক ১ টাকা কাবিনে নাজমা সুলতানা ববিকে বিয়ে করে হত্যার হুমকী দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিয়ে করেই ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে সাংবাদিক নামধারী ভেজাইল্যা সুলতান।
কাবিন নামা ও ফেসবুক লাইভ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার মাদ্রাসা গলির আনোয়ার হোসেনের কন্যা নাজমা সুলতানা ববি দীর্ঘদিন তালাকপ্রাপ্তা ছিল। পারিবারিক কলহের জেরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল নাজমা সুলতানা। অসহায়ত্বের সুযোগে সোনারগাঁ থানার বৈদ্যেরবাজার হাড়িয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার কুখ্যাত ছেলে সুলতান মাহমুদের অবৈধ সম্পাদনায় দপ্তর বার্তা পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ দেয় নাজমা সুলতানাকে এবং বলে পারিবারিক যতো সমস্যা আছে সকল সমস্যা সমাধান করার নিশ্চয়তা দেয় সুলতান। এরই ফাঁকে মাঝে মধ্যে নাজমার শরীরের প্রতি আকর্ষিত হয়ে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় সুলতান। নাজমা অসম্মতি জানালে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং ব্যর্থ হয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ১ টাকা দেনমোহরে গত ২ মে প্রতারণা করে নারায়ণগঞ্জ শহরের উত্তর চাষাঢ়া বিদ্যার্থী ভবনের ঠিকানা ব্যবহার করে নাজমাকে বিয়ে করে। বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে ছিল মোঃ মহিউদ্দীন ও মাজহারুল ইসলাম। কাবিন নামায় বরের জন্ম তারিখ ১৯৭৩ সালের পহেলা মার্চ এবং কন্যার জন্ম তারিখ ১৯৬৮ সালের ১৭ নভেম্বর। বয়স অনুযায়ী দেখা যায় স্বামী সুলতানের থেকে ৫ বছরের বড় স্ত্রী নাজমা সুলতানা ববি। ভেজাইল্যা সুলতানের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে অসহায় অবহেলিত নারী নাজমা সুলতানা গত তিনদিন যাবত তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুহুর্তের মধ্যেই লাইভ ভিডিওগিুলি ভাইরাল হয়ে যায়। স্পষ্ট ভাষায় লাইভে বলেন ধর্ষণ করতে না পেরে নারীখেকো সুলতান মাহমুদ আরো লোকজন দিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ১ টাকা কাবিনে রাতে বিয়ে করে উল্টো সকাল ভোরে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। বিভিন্ন অপরাধের কথা তুলে ধরে লাইভ করেন নাজমা। যার ফলশ্রুতিতে লাইভ এবং ফেসবুকের স্ট্যাটাস ডিলিট করার জন্য একের পর এক চাপ দিয়ে থাকে সুলতান এবং তার সহযোগী অপরাধিরা। পরবর্তীতে নিজেকে বাঁচাতে ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এবং সুলতানের নিজের ফেসবুক আইডি থেকে গত ৮ মে দুশ্চরিত্রা নারী বলে নাজমা সুলতানাকে দপ্তরবার্তা পত্রিকা থেকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দেয়। সুলতান যেন আর কোন নারীর জীবন নষ্ট করতে না পারে সেই জন্য নাজমা সুলতানা ন্যায় বিচারের আশায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি ও প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে সুলতানকে গ্রেফতার করার দাবী জানান লাইভে এবং তিনি যদি কোন কারণে মৃত্যুবরণ করেন তাহলে সুলতান সহ তার পরিবারের সদস্যরা দায়ী থাকবে বলে জানান।
আরো জানা যায়, সুলতান মাহমুদ দীর্ঘ কয়েক বছর আগে সোনারগাঁয়ের এক মেয়েকে বিয়ে করে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে রোজিনা নামে আরেকজনকে বিয়ে করে সংসার করছে। সেখানেও সুলতানের ছেলে-মেয়ে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নারী লেখিকা সাথীকে উত্ত্যক্ত করার অপরাধে সদর থানায় সুলতানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এছাড়াও সুলতানের লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে হেলেনা আক্তার জয়া নামে আরেকজন গার্মেণ্টস শ্রমিক নেত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির হোতা নরপশু সুলতানের তৃতীয় স্ত্রী নাজমা সুলতানা ববি ন্যায় বিচারের আশায় প্রতারকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে লাইভে জানান ভুক্তভোগী
নারী।