ভেজাইল্যা সুলতান ও কামাল জেল থেকে
বেরিয়ে বেপরোয়া ॥ ডিসি এসপির কাছে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ ও একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী প্রতারক কামাল প্রধান সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হুমকী ধামকী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানীর অভিযোগে ১১ মার্চ সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে একজন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।
ভুক্তভোগী প্রবীন সাংবাদিক শাহ আলম তালুকদার লিখিত অভিযোগে জানায় দৈনিক রুদ্রবার্তা ও রুদ্রকণ্ঠ পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে চাঁদাবাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতার মামলার আসামী সুলতান মাহমুদ ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কামাল প্রধান দীর্ঘদিন যাবত মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে সামাজিক ভাবে মানসম্মান ক্ষুন্ন করাসহ অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং সুলতান মাহমুদ ও কামাল প্রধানের ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচারের কারণে শাহ আলম তালুকদার সামাজিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে। এছাড়াও অবৈধ ভাবে প্রচারিত সময়ের চিন্তা ডটকম অনলাইনে ও সাপ্তাহিক দপ্তর বার্তা নামে অবৈধ পত্রিকায় সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী ও এক সময়ের মলম বিক্রেতা শাহ আলম এখন একাধিক পত্রিকার সম্পাদক শিরোনামের সংবাদে ছবি দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে মানসম্মান ক্ষুন্ন করে। উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১৩ জুন সুলতান মাহমুদ ও কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালত, সদর, নারায়ণগঞ্জে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৩১/২০২৩। মামলাটিতে মুচলেকা দিয়ে সুলতান অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকে আবারও শুরু করে দিয়েছে অনৈতিক কর্মকান্ড। কিন্তু মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। আর পলাতক রয়েছে কামাল। উভয় আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে যার নং-৬১৮। বর্তমানে উভয় বিবাদী সমাজের বিশৃঙ্খল লোক এবং খুবই খারাপ প্রকৃতির বিধায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান শাহ আলম তালুকদার। এছাড়াও অবৈধ সম্পাদনার পত্রিকা দপ্তর বার্তার বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়েও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় ১১ মার্চ। উল্লেখ্য যে, ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের নাম দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইলিং করে চাঁদাবাজি করছে সুলতান মাহমুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এছাড়া বিভিন্ন ফেইস বুকে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানী করছে কামাল। প্রতারক ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী কামালকে বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা খুজে বেড়াচ্ছে এবং তাকে পাওয়া মাত্রই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিসি এসপি সহ নারায়ণগঞ্জের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান ভুক্তভোগী।